কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালির ১৮ নম্বর রোগিঙ্গা ক্যাম্পে রাত ৩টার দিকে তাহাজ্জুদ সালাত আদায়রত মুসলিমদের ওপর আক্রমণ চালায় প্রায় ৩ শতাধিক সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা দা, কিরিচ ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলাতে নিহত হন ৩জন মাদ্রাসা শিক্ষক, ১জন শিশু ছাত্র এবং হামলার খবর পেয়ে ছুটে আসা ২ রোহিঙ্গা শরণার্থী। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে চলে যাবার সময় সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গাদের কয়েকটি দোকান ও বাড়িও ভাংচুর করে। গত ২২শে অক্টোবর ভোরে এই নৃশংস হত্যাকান্ড পরিচালিত হয়।
দারুল উলূম নাদ ওয়াতুল উলামা আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও সাধারণ রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন যে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ও তাদের অনুসারীরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার পর আতংকে আছেন রোহিঙ্গারা। পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন ঘটনার পর তারা একটি দেশীয় বন্ধুক, ৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ সন্দেহভাজন একজন কে সন্ত্রাসীকে আটক করেছে তারা। তাকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান যে সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসার ভেতর থাকা দুইজন নামাজরত শিক্ষককে গুলি এবং পরে রামদা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর আরও দুজনকে একই কায়দায় হত্যা করা হয়। হামলায় আহত হয়ে দুজন হাসপাতালে মারা গেছেন।
এই বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে গতকাল বৃহস্পতিবার একটি বড় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে যাতে আইনশৃঙ্খলা আরো উন্নত করা যায়, সে নিয়ে একটা বড় সভা গতকালকেই করেছি। এরপর (আজকের) দুর্ঘটনা, খুবই আতঙ্কের বিষয়।”
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা এবং আজকের ঘটনার পেছনে যোগসাজশ আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তার মন্তব্য- “বিভিন্ন লোকে বলছে যে, ওখানে ড্রাগের ব্যবসা হয়…আর কেউ কেউ তথ্য দিয়েছে, কিছু উইপেন, কিছু বন্দুক-টন্দুকও আনা হয়। এসব নিয়ে কালকে আলোচনা করেছি আমরা। আমার প্রস্তাব হলো, এই ড্রাগ ও অস্ত্র পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনে গুলি ছুঁড়তে হবে।”
সে আরও বলে- “অনেক লোক (মায়ানমারে) ফেরত যেতে চায় না, তারা হয়তো এসব অঘটন ঘটাচ্ছে। আমি ঠিক জানি না, তবে জানতে হবে।”
এমন একটি ঘটনার পর আমাদের দেশের মূলধারার মিডিয়ায় কোনও খবর নেই। অথচ আজ যদি কোনও হিন্দু পাড়ায় কোনও সামান্য ঘটনাও ঘটে তো দেশের মূলধারার পত্র-পত্রিকা, টিভি-চ্যানেল সব জায়গায় প্রতিনিয়ত তা সম্প্রচার করা হয়। কিন্তু মুসলিমদের বেলায় তার কোনটিই নেই। আমাদের মূলধারার মিডিয়ার পক্ষপাতমূলক আচরণ আরও একবার এর থেকে প্রমাণিত হলো যে মুসলিমদের উপর কোন নির্যাতন বা সহিংসতার ঘটনা তারা প্রচার করবে না।
তথ্যসূত্র :
——–
https://tinyurl.com/yd3rp2hu
খুনি arsa