সন্ত্রাসী অমিত শাহ’র সফর ঘিরে কাশ্মীরিদের হয়রানি : নির্বাচনের পর স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার টোপ!

0
872
সন্ত্রাসী অমিত শাহ’র সফর ঘিরে কাশ্মীরিদের হয়রানি : নির্বাচনের পর স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার টোপ!

শনিবার ২৩ অক্টোবর হিন্দুত্ববাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্‌ এর আগমন উপলক্ষে কাশ্মীরের কিছু কিছু জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পাশাপাশি বাসিন্দাদের সংখ্যক বাইক জব্দ করা হয়েছে। তবে কাশ্মীর জোনের আইজিপি বিজয় কুমার এক টুইটে দাবি করে, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং বাইক জব্দ করা তাদের সন্ত্রাস বিরোধী রুটিন অভিযান।

অথচ মুসলিম বাইক আরোহীগণ অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশ তাদের কাছ থেকে কোনও ডকুমেন্ট না দেখেই তাদের বাইক জব্দ করে এবং তাদেরকে ২৬ অক্টোবরের পর বাইক সংগ্রহ করতে বলে।

এদিকে কাশ্মীরি যুবকরা যখন হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন নির্মূললে সশস্ত্র জিহাদে অবতীর্ণ হয়েছে, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে যখন নিয়মিতই আগ্রাসী ভারতীয় সেনারা প্রাণ হারাচ্ছে, সন্ত্রাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তখন কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার টোপ দিয়েছে।

গত শনিবার মুসলিম হত্যাকারী অমিত শাহ জানিয়েছে, আসন পুনর্বিন্যাসের পর কাশ্মীরে নির্বাচন হবে। আর ওই নির্বাচনের পরেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু ও কাশ্মির। ২০১৯-এর আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মির সফরে গেলো সন্ত্রাসী অমিত শাহ।

শ্রীনগর পৌঁছে শাহ দেখা করতে যায় জম্মু-কাশ্মিরের নিহত পুলিশ কর্মকর্তা পারভেজ আহমদের পরিবারের সাথে। কয়েক দিন আগেই বন্দুকধারীদের হাতে নিহত হয় এই পুলিশকর্মী। পারভেজের স্ত্রীর সাথে দেখা করে তাকে চাকরির প্রস্তাব দেয় সে। এর পর অমিত বলে, এই পুলিশকর্মীর আত্মবলিদান মনে রাখবে গোটা দেশ।

তবে বিশ্লেষকর সমালোচনা করে বলছেন যে, ভারতীয় আগ্রাসী সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাশ্মীরি জনগণ যে মনে রেখেছে, তার প্রমাণ তারা দিচ্ছে একে একে ভারতীয় দালালদের হত্যা করার মাধ্যমে।

অক্টোবরের গোড়া থেকে উপত্যকায় স্বাধীনতাকামীদের হামলায় নিহত হয়েছে হিন্দুত্ববাদীদের ১১ দালাল। আর নিহত আগ্রাসী সেনা সদস্যদের অনানুষ্ঠানিক সংখ্যা প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন।

আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান শক্ত করা ও নির্বাচনে জয়লাভ করা ছিলো শাহের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য। তাছাড়া আফগানে তালিবান ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের পর কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতে বিজেপি সরকার এখন বেশ চাপে রয়েছে। এই চাপ সামাল দিতেই মোদির পর এখন শাহের কাশ্মীরে সফরে যাওয়া এবং কাশ্মীরিদের মুক্তির জিহাদি আন্দোলন ঠেকাতেই মূলত তার এই ধোঁকাবাজি।

আর কথিত “রাজ্য’র মর্যাদা” ফিরিয়ে দেবার প্রতারণাপূর্ণ আশ্বাস যে কাশ্মিরিদের দুর্দশা কমাতে কোন ভূমিকা রাখবে না, এটা কাশ্মীরি মুসলিমরা ভালো করেই জানেন বলে মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকরা।

তথ্যসূত্র :
——-
১। shorturl.at/fuvEU
২। https://tinyurl.com/3rr2nrmn

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দী উইঘুর বুদ্ধিজীবিদের তালিকা হালনাগাদ
পরবর্তী নিবন্ধআল-ফিরদাউস নিউজ বুলেটিন || অক্টোবর ২য় সপ্তাহ, ২০২১ঈসায়ী ||