ভারতের হিন্দুত্ববাদী আসাম সরকার গত ২০শে সেপ্টেম্বর দারাং জেলার ধলপুর গ্রামে ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অন্তত ৮০০ পরিবারকে গৃহহীন করে দেয়। বুলডোজার দিয়ে একের পর এক বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সশস্ত্র পুলিশ। মূলত ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলিদের ভিটেহারা করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল।
সেই ধলপুর এলাকায় ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বিতীয় দফা ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই আরো ৮০০ পরিবারকে গৃহহীন করেছে। পাশাপাশি, সরকার আসামের ধলপুর এলাকায় চারটি স্কুল এবং নয়টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মধ্যে আটটি বন্ধ করে দিয়েছে।
ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না, উচ্ছেদের মাধ্যমে কার্যত তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এই হিন্দুত্ববাদীরাই তালেবান আফগান বিজয়ের পর নারীদের শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে বলে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে মায়া কান্না করেছিল। আফগানে শিক্ষা ব্যবস্থা এখন নারী-পুরুষ সকলের জন্যই সমানভাবে চলছে। পক্ষান্তরে ভারতই এখন হাজারো শিক্ষার্থীকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দিচ্ছে। বঞ্চিতরা মুসসলিম হওয়ায় তাদের কোন মানবাধিকার ও লঙ্ঘন হয় না।
উল্লেখ্য, উচ্ছেদের শিকার অধিকাংশই বাঙালি মুসলিম, যারা স্থানীয়ভাবে “মিয়ান মুসলিম” নামে পরিচিত।
গত ২০শে সেপ্টেম্বর উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালালে দু’জন নিহত হয়েছিল।
এছাড়াও বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের উপর ক্র্যাক ডাউন চালায় আগ্রাসী পুলিশ বাহিনী। পরে গ্রামের অনেক লোক নিখোঁজ হয়েছে, তবে নিখোঁজের সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি।
আর হিন্দুত্ববাদীরা এখন সেখানে দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে মুসলিমদের ব্যাপক ভিত্তিক নির্মূল অভিযান ও গণহত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র:
——
১। Assam Evictions Leave Students From Minority Section Deprived of Education
https://tinyurl.com/595584ba