পূর্ব আফ্রিকার খৃষ্টান প্রধান দেশ কেনিয়ার একটি কারাগার থেকে তিনজন মুসলিম বন্দী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। এই বন্দীদের সবাইকে জিহাদ ও মুজাহিদদের সাথে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।
কেনিয়া সরকার পলাতক উক্ত তিন বন্দীদেরকে নিজেদের জন্য বিপজ্জনক এবং মুজাহিদ হিসাবে বর্ণনা করেছে। পলাতকদের মধ্যে একজন হচ্ছেন মোহাম্মদ আলী আবিকার, যাকে ২০১৫ সালে গারিসা অভিযানে হারাকাতুশ শাবের সাথে হামলায় শরিক থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সরকার কারারক্ষীদের শিথিলতা এবং অদক্ষতাকে এর জন্য দায়ী করেছে।
পলাতক মুসলিমদের গ্রেপ্তারের জন্য দেশটির কথিত কয়েকটি নিরাপত্তা সংস্থা একযোগে অভিযানে নেমেছে। সেই সাথে দেশটির সরাকার একটি পাবলিক আপিলও জারি করেছে, যেখানে উক্ত তিন পলাতক মুসলিম সম্পর্কে তথ্যের জন্য ২০ মিলিয়ন কেনিয়ান শিলিং ($178,000) অফার করেছে।
দ্বিতীয় পালাতক মুসলিম ব্যক্তিকে ২০১২ সালে কেনিয়ার পার্লামেন্টে হামলা চালানোর অভিযোগে এবং তৃতীয়জনকে সোমালিয়ায় আল-শাবাবে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এক বিবৃতিতে, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানায় যে, “আমরা খুব শীগ্রই এই তিনজনকে খুঁজে বের করতে যাচ্ছি। তারা আমাদের জন্য বিপজ্জনক, তাই যেকোন মূল্যে তাদেরকে আমাদের ধরতে হবে।”
তবে হক্কানী উলামারা আশা ব্যক্ত করেছেন, মুসলিম উম্মাহ অবশই সেই বীর মুজাহিদদের জন্য দোয়া করবে, তারা এই উম্মাহর জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর হেয়াফজতের জন্য নিজেদের স্বাদ-আল্লাদ-পরিবার-জীবন-সম্পদ সবকিছু আল্লাহ্র পথে কুরবানি করে দিয়ে এসেছে। এই সত্য উম্মাহ এখন বুঝে গিয়েছে যে, পসচিমার যাদেরকে এতদিন ধরে সন্ত্রাসী বলে গালি দিয়ে এসেছে, মূলত তারাই এই উম্মাহকে পশ্চিমা আগ্রাসন থেকে উদ্ধার করতে পারে।
আল্লাহ তাদেরকে নিরাপদে রাখুন! আমীন