জম্মু এবং কাশ্মীরে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে কাশ্মীর ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমগুলো। বিগত ১৩ মাসের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন কাশ্মীরের প্রেস কলোনিতে দুটি সংবাদপত্রের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে কাশ্মীরের সবচেয়ে পুরাতন ইংরেজী দৈনিক ‘কাশ্মীর টাইমস’ এবং একটি হচ্ছে ‘দ্যা গ্রেটার কাশ্মীর’।
কাশ্মীর টাইমস এর নির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন বলেন- “আমার এখনও মনে আছে, সেদিন সরকারী কর্মচারীরা অফিস আওয়ারে আমাদের অফিসে ঢুকে আমাদের কোনও সময় না দিয়েই অফিস সিল করে দেয়। তারপর থেকে আমরা এখনও আমাদের শ্রীনগরের সংস্করণটি চালু করতে পারি নি। শ্রীনগরে আমাদের যত কর্মী ছিলো তারা সবাই আজ কর্মহীন।”
‘দ্যা গ্রেটার কাশ্মীর’ দৈনিক বন্ধ করার আগেও ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন এই দৈনিকের বিজ্ঞাপন প্রচার কোন কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দিয়েছিলো। প্রশাসন পরে কারণ দর্শায় যে উক্ত দৈনিকটি নাকি কথিত ‘সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে’ অর্থায়ন করে আসছিলো। এমনকি তারা সেই দৈনিকের অফিস থেকে কম্পিউটার, প্রিন্টার পর্যন্ত ছিনিয়ে নেয়।
শুধু যে কাশ্মীরের দৈনিক সংবাদপত্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে তাই-ই নয়। বরং গোটা কাশ্মীরকে বন্দী করার জন্য উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা হত্যা করে চলেছে সাংবাদিকদেরও।
হিন্দুত্ববাদীদের বিষাক্ত ছোবল থেকে বর্তমানে কোন কাশ্মীরিই রেহাই পাচ্ছে না।
হিন্দুত্ববাদীদের বিষাক্ত ছোবল থেকে বর্তমানে কোন কাশ্মীরিই রেহাই পাচ্ছে না। উগ্র বিজেপি সরকার সংবিধান থেকে ৩৭০ নং ধারা বাতিল করার পর থেকে ইন্টারনেট সেবা, মেডিক্যাল সেবা, খাদ্য, শিক্ষা সহ সকল প্রকারের মৌলিক চাহিদা থেকে কাশ্মীরি মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন রাখা হচ্ছে। আর এখন কাশ্মীরি মুসলিমদের আর্তনাদ বিশ্বের কাছে পৌঁছানোর যে মাধ্যমটি, সেটিকেও শেষ করে দিতে চলেছে এই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।
অবস্থাদৃষ্টে এটা স্পষ্ট যে, কাশ্মীরের মুসলিমদের জীবন ফিলিস্তিনি মুসলিমদের মতোই করুণ। ফিলিস্তিনি মুসলিমরা যেমন আজ নিজেদের ঘরে নিজেরাই নির্যাতন ও উচ্ছেদের শিকার, কাশ্মীরের অবস্থাও সেই পর্যায়ে চলে গেছে। তবে হিন্দুত্ববাদী ভারতের চাপে হলুদ মিডিয়া কাশ্মীরের প্রকৃত সংবাদ সবসময় চেপে যায়।
তথ্যসূত্র:
——
https://tinyurl.com/2p2zwzh8
ওরা যতকিছুই করুক, সত্যকে কখনো ধামাচাপা দিতে পারবে না!