মালি থেকে ইউরোপীয় আরও একটি দেশের সেনা প্রত্যাহার: বাড়ছে আল-কায়েদার হামলা

ত্বহা আলী আদনান

2
1874
মালি থেকে ইউরোপীয় আরও একটি দেশের সেনা প্রত্যাহার: বাড়ছে আল-কায়েদার হামলা

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একের পর এক সফল হামলা চালাচ্ছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যোদ্ধাদের এসব হামলার মুখে ভেঙে পড়ছে ইউরোপীয় ক্রুসেডার জোটের অর্থনীতি। ফলে ক্রুসেডার ফ্রান্স ও জার্মানির পর এবার সুইডেনও ঘোষণা করেছে যে, তারা মালি থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করবে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘অ্যান লিন্ডে’ জানিয়েছে যে, তারা এই বছরের শেষ নাগাদ ইউরোপীয় ক্রুসেডার যোদ্ধাদের দ্বারা গঠিত “তাকুবা” মিশন থেকে তাদের বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করবে।

মালিতে মুজাহিদদের হাতে দীর্ঘ ৯ বছরের যুদ্ধে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করেছে ইউরোপীয় ক্রুসেডার জোট। মুজাহিদদের শক্তি খর্ব করা ও বিজয় অভিযান রুখা তো দূরের বিষয়, এখন এই জোট নিজেদের ইজ্জত নিয়ে আফগানিস্তানের মতো মালি থেকেও পালানোর চেষ্টা করছে। ইউরোপীয় জোটের এই পলায়ন দেখে মালির পুতুল সরকার নিজেদের ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ফলে গাদ্দার সরকার রাশিয়ার ভাড়াটিয়া সৈন্যদেরকে মালির তপ্ত মুরুর বুকে নিয়ে এসেছে। কিন্তু এতেও রেহাই নেই গাদ্দার সরকারের। মালিতে রাশিয়ান সেনাদের আগমনের কয়েক দিনের মাথাতেই এই ভাড়াটিয়া সৈন্যরাও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ২টি সফল হামলার শিকার হয়েছে। যাতে হতাহত হয়েছে কয়েক ডজন দখলদার রাশিয়ান সেনা।

এদিকে নিজেদের ইজ্জত বাঁচাতে ‘লিন্ডে’ বলেছে যে, মালিতে রাশিয়ান ভাড়াটিয়া বাহিনীকে মোতায়েন করার ফলে তারা জাতিসংঘ মিশনে থেকেও সরে আসতে পারে।

উল্লেখ্য যে, মালিতে ক্রুসেডার ‘তাকুবা’ মিশনের অধীনে সুইডেনের ১৫০ জন এবং কুফ্ফার জাতিসংঘের মিশনের ‘MINUSMA’-এর অধীনে ২৫০ জন সৈন্য রয়েছে।

ক্রুসেডার পশ্চিমা শক্তিগুলি মালিতে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিজয় অভিযান রুখতে পারেনি। বরং এখন তা আরও শক্তিশালী এবং পুরো আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। মুজাহিদদের এই বিজয় অভিযান রুখতে ২০১৩ সালে ক্রুসেড যুদ্ধের সূচনা করেছিল পশ্চিমারা। যা এখন মুখথুবড়ে পড়েছে।

2 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগান তালিবান ও পাকিসেনাদের মধ্যকার উত্তেজনা : পটভূমি ও নিকট ভবিষ্যত (দ্বিতীয় কিস্তি)
পরবর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা অব্যাহত থাকবে: তালেবান মুখপাত্র