ইসলামবিদ্বেষী কিছু নারীর হিজাব পোড়ানোর কঠোর শাস্তি দাবিতে আফগান নারীদের বিক্ষোভ

1
1635
ইসলামবিদ্বেষী কিছু নারীর হিজাব পোড়ানোর কঠোর শাস্তি চেয়ে আফগান নারীদের বিক্ষোভ

সম্প্রতি আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের পোষা কিছু বুদ্ধিহীন পশ্চিমা অনুসারী নারী এক্টিভিস্ট হিজাব পুড়িয়ে শরয়ী বিধান পর্দা ও মুসলিম নারীদের অবমাননা করেছে। যেই পর্দার বিধান মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা মুসলিম নারীদের পবিত্রতা রক্ষায় দিয়েছেন।

এসব বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীদের কঠোর শাস্তি চেয়ে হিজাবের সমর্থনে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেছেন আফগান নারীরা। সমাবেশ থেকে বিক্ষোভকারী নারীরা তালিবান সরকারের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন যে, ‘আমরা চাই আমাদের সরকার যেন ইসলামের পবিত্রতা রক্ষায় কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। সেই সাথে ইসলামের বিধান ও নারীদের অবমাননাকারীদের শরয়ী আদালতের সম্মুখীন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এধরণের স্পর্ধা দেখাতে না পারে।’

গত ২০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এমন দাবি তুলেন আফগান নারীরা। এরপর শুক্রবারেও জুম’আর নামাজের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে পর্দার বিধান ও নারীদের অবমাননা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা। এসময় রাজধানীর আব্দুল হক স্কোয়ারেও মিছিল করেন মুসলিমরা। তাঁরা জানান যে, পশ্চিমাদের অনুসারী ও কিছু পোষা নারীরা হিজাব পুড়িয়ে লক্ষ লক্ষ আফগানদের জাতীয় ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবমাননা করেছে।

বিক্ষোভকারী আফগান জনগণ বলেন, হিজাব মহান আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার পক্ষ হতে দেওয়া একটি ফরজ বিধান। যেই বিধানটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আফগানরা পালন করে আসছে।

আন্দোলনকারীদের অন্যতম একজন মৌলভী রশিদ বলেন, যারা ইসলামী পবিত্রতার প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রাখছে, ইসলামি শরিয়ার অবমাননা করছে তাদেরাে কঠোর হস্তে থামাতে হবে।

সমর গুল নামে আরেকজন প্রতিবাদী বলেন, “এটা ইসলামি ভূমি এবং এখানে একমাত্র ইসলামি আইনই বলবৎ থাকবে। শুধু আমরা পুরুষরাই নই, বরং শহরের অন্য প্রান্তেও আজ শত শত নারী হিজাবের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন।”

বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ থেকে একটি বিবৃতিও জারি করেন। যেখানে তারা ইমারতে ইসলামিয়ার কর্তৃপক্ষকে দেশে ইসলামী সংস্কৃতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। সেই সাথে যারা ইসলামের কোন বিধানের অপমান করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

রাজধানী কাবুলের আব্দুল হক স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকেও এমন দাবি জানানো হয়। সেখানে তারা পশ্চিমাদের পোষা কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী কর্তৃক ইসলামের পবিত্র বিধান পর্দার অবমাননা ও ইচ্ছাকৃতভাবে হিজাবে আগুন দেওয়া বেশ কিছু মহিলার বিচারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য যে, কয়েকদিন আগে কাবুলের নিউ সিটিতে এক বিক্ষোভের সময় কয়েক মহিলা হিজাবকে আরব সংস্কৃতি বলে আখ্যা দেয়। এসময় এসব বুদ্ধিহীন নারীরা হিজাবে আগুন দেয়। পশ্চিমাদের পোষা এই নারীদের এমন উদ্ধত আচরণ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত আফগানদেরকে খুবই ব্যথিত করেছিল।

১টি মন্তব্য

Leave a Reply to mumin প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাশ্মীরে যুদ্ধাপরাধের জন্য ভারতীয় সেনা প্রধান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিচারের উদ্যোগ কতটা কার্যকর?
পরবর্তী নিবন্ধমুসলিম নিধন ও ইসলাম বিদ্বেষের পুরস্কার হিসেবে মনিরুল ও বনজ কুমারসহ ৭ পুলিশের পদন্নোতি