২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় হতাহত ১৪ এরও বেশি গাদ্দার পাকি সেনা

আলী হাসনাত

3
1323
২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় হতাহত ১৪ এরও বেশি গাদ্দার পাকি সেনা

পাকিস্তান ভিত্তিক অন্যতম ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে অভিযানের তীব্রতা বাড়িয়েই চলছেন। সেই সুবাদে গত ১৮ জানুয়ারি এক দিনেই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৬টি অভিযান চলিয়েছেন দলটির প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মদ খোরাসানী (হাফি:) এক টুইট বার্তায় নিশ্চিত করেছেন জে, প্রতিরোধ বাহিনীর মুজাহিদগণ গত ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের বাজোর এজেন্সি, ট্রাল, পেশওয়ার ও ডেরা ইসমাইল খান জেলায় ঐ অভিযানগুলো পরিচালনা করেছেন।

এরমধ্যে পেশওয়ারের হায়াতাবাদ ও বাডাহবীর এলাকায় মুজাহিদগণ দুটি অভিযান চালিয়েছেন। সূত্রমতে বাডাহবীরে মুজাহিদগণ গাদ্দার পুলিশ বাহিনীর একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। এতে ৩ গাদ্দার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। সেই সাথে গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

একইভাবে পেশোয়ারের হায়াতাবাদেও একটি পুলিশ পোস্টে গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালান টিটিপির মুজাহিদগণ। যাতে আরও ২ পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং তাদের পোস্ট ধ্বংস করা হয়।

অপরদিকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের সারারুগাহ সীমান্তে গাদ্দার সেনাদের একটি টহল দলকে টার্গেট করে হামলা চালান মুজাহিদগণ। এসময় মুজাহিদগণ বোমা হামলা চালালে তা ঘটনাস্থলেই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১ গাদ্দার সেনা নিহত এবং আরও ২ সেনা সদস্য আহত হয়।

এদিন পাকিস্তানের ডেরা ইসমাইল খানে এসএইচওর গাড়িতে এবং কু-ট্রাল এলাকায় সেনাবাহিনীর সাথে লড়াই হয় মুজাহিদদের।

মুখপাত্র খোরাসানির মতে, উভয় স্থানে মুজাহিদদের হামলায় ৬ এরও বেশি গাদ্দার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে। তবে এরমধ্যে কু-ট্রালে সবচাইতে ভয়াবহ লড়াই হয়। যেখানে প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিদেশিদের দালাল সেনা সদস্যদের সাথে যুদ্ধ চলে মুজাহিদদের। এতে নাপাক বাহিনীর গাদ্দার সেনাদের পাশাপাশি ২ জন বীর মুজাহিদও শাহাদাত বরণ করেন (ইনশাআল্লাহ)।

অপরদিকে বাজোর এজেন্সিতে দেশটির গাদ্দার বাহিনীর উপর স্নাপার হামলাও চালান মুজাহিদগণ। যার মাধমে এক লেভি অফিসারকে হত্যা করতে সক্ষম হন মুজাহিদগণ।

এভাবেই দেশ ও উম্মাহর স্থে গদ্দারি করা সেনা ও প্রশাসনকে উপজুক্ত শিক্ষা দেওয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছেন টিটিপি’র বীর মুজাহিদগণ, যাতে করে অদুর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলেও আফগানের ন্যায় একটি সফল ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠা করা যায়।

3 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসলামের তারকাগণ |পর্ব ১৫| ওস্তাদ ইয়াসির : তালিবান আন্দোলনের অন্যতম মতাদর্শী
পরবর্তী নিবন্ধসোমালিয়া | আশ-শাবাবের অভিযানে কমান্ডার সহ ১১ গাদ্দার সোমালি সেনা হতাহত