উত্তর আফগানিস্তানের সারাইপুল প্রদেশে একটি তেলের রিজার্ভ আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মুক্ত করেছে তালিবান সরকার। যেখান থেকে প্রতিদিন তেল উৎপাদন করা হচ্ছে।
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী, মোল্লা আব্দুল গানি ব্রাদার হাফিজাহুল্লাহ্ গত ৮ এপ্রিল এই অঞ্চলে অনুষ্ঠিত তেল কূপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। খনিটি উদ্বোধন করেন আফগানিস্তানের খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী শিহাবুদ্দিন দেলওয়ার হাফিজাহুল্লাহ্।
তালিবান সরকার গত বছরের শেষের দিকে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এসব খনি থেকে তেল উৎপাদন করতে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ এই প্রচেষ্টার পর গতকাল পর্যন্ত সারাইপুলের কাসগাড়ি তেলক্ষেত্রে ১০টি তেলের কূপের কাজ সম্পূর্ণ করেছে সরকার। যার মধ্যে ৯টি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গতকাল তেল উত্তলন করতে শুরু করেছে তালিবান সরকার।
খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে সারাইপুলের উক্ত তেল খনন থেকে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ হাজার ডলার আয় হবে (ইনশাআল্লাহ্)। সেই সাথে এই খনন কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করেন তাঁরা। বিশেষ করে দেশের উত্তরে অপরিশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রে।
এটি বলা হয়েছে যে, তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে বলে অনুমান করা হয় এমন অববাহিকাগুলিতে সংকল্প প্রক্রিয়া চালানো হবে। যার মাধ্যমে আফগানিস্তানের এসব খনিজ মজুদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
যদিও দেশে বেশ কয়েকটি পরিচিত রিজার্ভ রয়েছে। তবে ধারণা করা হয় যে, আফগানিস্তানে এসব খনিজের প্রকৃত পরিমাণ অনেক বেশি। যেহেতু একের পর এক যুদ্ধের কারণে সম্ভাব্য রিজার্ভের উপর ব্যাপক গবেষণা করা যায়নি। তাই তালিবান সরকার নতুন করে এসব খনিজ সম্পদের উপর নতুন করে গবেষণা শুরু করবে।
আফগানিস্তানের ভূগর্ভস্থ সম্পদ:
ইতিপূর্বে এই অঞ্চলে করা গবেষণা এবং অনুমান অনুসারে এটি বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলেই ১.৬ বিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল, ৩০০০ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ৫০০ মিলিয়ন ব্যারেল প্রাকৃতিক তরল গ্যাস রয়েছে। যার পরিমাণ বার্ষিক ৯-১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
জানা যায় যে, তেল সমৃদ্ধ ১৫২টি দেশের মধ্যে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চল একাই ৭তম স্থানে রয়েছে। এছাড়াও আফগানিস্তানের হেলমান্দ, হেরাত ও পাকতিয়ায় আরও বড় মজুদ রয়েছে।
হাইড্রোকার্বন সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানে ৬টি অববাহিকা-আধা-বেসিন রয়েছে। এগুলি হল আমু-দরিয়া, আফগান-তাজিক, ত্রিপুল, কুশকা, হেলমান্দ এবং কাটভাজ অববাহিকা। বলা হয়েছে যে এই অঞ্চলগুলি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তেল এবং গ্যাস উত্তোলন করা যেতে পারে।
এভাবেই তালিবান নেতৃবৃন্দের দৃঢ় ও ত্বরিত পদক্ষেপে দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান।
Alhamdulillah
আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহ আমাদেরকে বিজয়ের প্রস্তুত করেছেন