আফগানিস্তানের নিমরুজ প্রদেশে পাক-আফগান সীমান্ত রেখায় দুই দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে সামরিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে এখন পর্যন্ত তালিবানদের হামলায় বহু সংখ্যক পাক-সেনা নিহত এবং আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল শুক্রবার আফগানিস্তানের নিমরুজ প্রদেশে পাক-আফগান সীমান্ত নির্ধারণকারী কথিত ডুরান্ড লাইনে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। যেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক ডুরান্ড লাইনে কাঁটাতারের স্থাপনকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে যে, ঐদিন নিমরোজ প্রদেশে কাঁটাতার স্থাপনের চেষ্টা করে পাকি-সেনারা। এসময় সীমান্তের এপারে থাকা আফগান সেনারা কাঁটাতারের বেড়া বসাতে বারণ করেন। কিন্তু পাক সেনারা বিষয়টি মেনে নেয় নি। বরং ওরা উল্টো তালিবান সেনাদেরকেই হুমকি দিয়ে বলে, তালিবানরা যেনো সীমান্তের ‘জাকির’ নামক গ্রামটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে খালি করে দেয়। এদিকে স্বাধীনচেতা আফগান সেনারা গাদ্দার পাক সেনাদের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ মেনে নিতে পারেন নি।
ফলে ঐসময় সীমান্তে নজরদারি করা পাকিস্তানের একটা সামরিক হেলিকপ্টার টার্গেট করে হামলা চালান মুজাহিদগণ। এতে হেলিকপ্টারটি সামান্যের জন্য ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু এসময় সামরিক হেলিকপ্টারে থাকা পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ এক অফিসার সহ কয়েকজন গাদ্দার সেনা গুরুতর আহত হয়। ফলে উভয় সীমান্তে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
এরপর পাক সেনারা আবারো অতীত ভুলের পুনরাবৃত্তি করে বসে। সেনারা তালিবানদেরকে হুমকি দিয়ে বলে, মুজাহিদরা যেনো ২৪ ঘন্টার মধ্যে হেলিকপ্টারে হামলাকারীদের পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করে।
এই হুমকির পর তালিবানরা আবারো গাদ্দার পাক সেনাদের উপর হামলা চলান। এবং পাক সেনাদের দখলে ‘জাকির’ গ্রামের যেটুকু ছিলো তাও উদ্ধার করেন। সেই সাথে কাঁটাতারের সীমান্ত থেকে আরও অনেক দূর পর্যন্ত গাদ্দার সেনাদেরকে ধাওয়া করেন মুজাহিদগণ। এসময় পাক সেনাদের কয়েকটি গাড়ি ও সীমান্তে লাগানো কাঁটাতারসহ অনেক সরঞ্জাম জব্দ করেন।
এই ঘটনার পর পাকিস্তানি বাহিনীও আফগানিস্তানকে লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করে। ফলে পাল্টা জবাব দিতে পাক সেনাদের টার্গেট করে তীব্র হামলা চালান আফগান সেনারাও। এতে বহু সংখ্যক গাদ্দার পাক সেনা নিহত ও আহত হয়।
এদিকে আফগানিস্তানের নতুন প্রশাসন বলেছে যে, তাঁরা এই অঞ্চলে পাকিস্তান কর্তৃক সীমান্ত বেড়া এবং কাঁটাতারের বেড়া বসিয়ে পুশতুনদেরকে দুটি অঞ্চলে আলাদা করতে দিবেন না।
এই লক্ষ্যে গত ৮ এপ্রিল থেকে নিমরোজ সীমান্তে ভারী যুদ্ধাস্ত্র ও সাঁজোয়া যান সহ কয়েক হাজার নতুন সেনা মোতায়েন করেছে আফগান প্রশাসন।
Masha’allah
Alhamdulillah
মাশা আল্লাহ
MasaAllah
Alhamdulillah