একটি অনলাইন ম্যাগাজিনে স্বাধীনতার পক্ষে আর্টিকেল লেখায় কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পিএইচডি স্কলারকে গ্রেপ্তার করেছে জম্মু ও কাশ্মীর স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)।
এসআইএ শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে তাদের কথিত “সন্ত্রাস ও দেশবিরোধী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে” চালানো তল্লাশির অংশ হিসেবে আব্দুল আলা ফাজিলি নামের সেই স্কলারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি করে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
এসআইএ’র এক কর্মকর্তা জানিয়েছে যে তাদের তল্লাশি দল ফাজিলির বাসা থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসসহ অন্যান্য “অপরাধমূলক” প্রমাণ জব্দ করেছে।
সেই কর্মকর্তাটি আরও জানায়, ফাজিলির লেখা ‘দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে যাবে’ নামক নিবন্ধটি অত্যন্ত “উসকানিমূলক, রাষ্ট্রদ্রোহী এবং জম্মু ও কাশ্মীরে অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।” এবং “সন্ত্রাসবাদকে” মহিমান্বিত করে তরুণদের “সহিংসতার” পথ বেছে নিতে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। এছাড়াও এটি “মিথ্যা আখ্যানকে প্রচার ও প্রসার করেছে, যা ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ভাঙার লক্ষ্যে “বিচ্ছিন্নতাবাদী-কাম-সন্ত্রাসী” প্রচারাভিযান বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।
তবে বাস্তবতা এবং বিশ্লেষকদের মত এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁরা বলছেন ফাজিলিকে মূলত গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের “হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা” বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করেই। ফাজিলি তাঁর লেখায় কাশ্মীরে ভারতের হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন চালানোর বিরুদ্ধে লিখেছিলেন। আর সত্য কথা বলার জন্যেই তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দিয়ে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করেছে কাশ্মীরের হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
ইসলামি চিন্তাবীদগণ এটাও বলছেন যে, কাশ্মীরে তাদের আগ্রাসনের প্রমাণ আরও একবার দিল হিন্দুত্ববাদী দখলদার ভারত। তবে যেকোন উপায়েই দখলদার ভারত কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামী ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এখন আর দমাতে পারবে না বলেই মনে করেন তাঁরা।
তথ্যসূত্র:
1. Kashmir university PhD Scholar Arrested For ‘Highly Provocative And Seditioud’ Article
– https://tinyurl.com/4c9zmnkx