সাম্প্রতিক সময়ে সোমালিয়ায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব। সেই সূত্র ধরে আজও কয়েকটি অঞ্চলে সরকারি মিলিশিয়াদের লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
আঞ্চলিক সূত্র জানায়, আশ-শাবাব যোদ্ধারা আজ ২৩ জুন বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী মোগাদিশুর হোদান জেলার উপকণ্ঠে একটি ভারী হামলা চালিয়েছেন। যেখানে সোমালি গাদ্দার সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
এদিন ভোরের আলো ফোঁটার আগেই শাবেলি অঞ্চলের আফজাউয়ী জেলায়ও একটি অভিযান চালান আশ-শাবাব মুজাহিদিন। অভিযানে শহরের উপকণ্ঠে সাবিদ সেতুর কাছে সরকারী মিলিশিয়াদের একটি সামরিক ঘাঁটি টার্গেট করা হয়। অভিযানটি প্রায় দেড়ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে। এতে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় সোমালি বাহিনী।
একই অঞ্চলের আউদাকলী জেলাতেও একটি থানায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে থানাটির কয়েকটি ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে। এখানেও বহু সংখ্যক শত্রু সেনা হতাহত হয়।
একইভাবে এদিন মোগাদিশুতে সেক্যূলার তুর্কি-প্রশিক্ষিত গাদ্দার সৈন্যদের বহনকারী একটি সামরিক কনভয়েও হামলা চালান মুজাহিদগণ। এসময় প্রথম বিস্ফোরণের সাথে সাথেই গাদ্দার সৈন্যরা দ্রুত এলাকা ছেড়ে যায়। পরে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে একটি মোটরসাইকেল ধ্বংস হয় শত্রুদের।
এদিকে, যুবা অঞ্চল থেকে পাওয়া খবরে বলা হয়েছে যে, রাজ্যটিতে আজ সকালে সামরিক বাহিনী একটি কাফেলা প্রচণ্ড বিস্ফোরণের কবলে পড়েছে। হামলাটি কিসমায়ো জেলার উপকণ্ঠে বারসাঙ্গুনি এলাকায় ঘটেছে। এতে অর্ধডজন সেনা নিহত এবং আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট মিডিয়া সূত্র, এদিন বেশ কিছু হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। দলটির মুখপাত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিরোধ যোদ্ধারা দখলদার বিদেশী সৈন্য এবং তাদের সহযোগী গাদ্দার মিলিশিয়াদের উপর আক্রমণ তীব্রতর করেছেন। বিশ্লেষকরা তাই খুব দ্রুত সময়ের মাঝেই সেখানেও একটি ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করছেন।
আলহামদুলিল্লাহ 🤲🤲🤲🤲🤲