
ভারতের বিহারে বাকবিতন্ডার সূত্র ধরে মুসলিমদের এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে উগ্র হিন্দুরা। যার থেকে রেহাই পাননি মসজিদের বৃদ্ধ ইমামও।
স্থানীয় বিভিন্ন টুইটার একাউন্টের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, গত জুন মাসের ১৭ তারিখে বিহারের দারভাঙ্গা এর ঘনশ্যাপুর অঞ্চলের বাদিতোতোলা এলাকায় দুটি হিন্দু-মুসলিম পরিবারের মাঝে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় উগ্র হিন্দুরা গায়ে পড়ে মুসলিমদের সাথে সংঘর্ষের লিপ্ত হয়। যা এক পর্যায়ে কঠিন মারামারিতে রূপ নেয় এবং এতে ধর্ম সাহু নামের এক হিন্দু মারা যায়।
এরপর দলে দলে উগ্র হিন্দুরা মুসলিমদের বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালাতে থাকে। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মুসলিমরা তাদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই সুযোগে হিন্দুরা মুসলিমদের ঘরের তালা ভেঙে ঘরের সবকিছু তছনছ করে এবং মূল্যবান জিনিস লুট করে নিয়ে যায়। এখানেই ক্ষান্ত থাকেনি উগ্র হিন্দুরা। তারা এলাকাটির মুসলিমদের বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যা মামলা করে। ফলে এলাকাটিতে আরও হয়রানির শিকার হন মুসলিমরা।
প্রায় ১৮ দিন পর, অর্থাৎ গত ৫ জুলাই হিন্দুত্ববাদী প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুসলিমদের জানানো হয় যে, যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি তারা তাদের বাড়ি-ঘরে ফিরে যেতে পারবে। সেই সাথে মসজিদে ইবাদত করতে পারবেন (এতদিন মসজিদে আযান দেয়া ও সালাত আদায় করতে দেয়া হয়নি)। এরপর এলাকার বৃদ্ধ ইমাম কয়েকজন মুসলিমকে নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন এবং মসজিদে গিয়ে ওযু করে সালাত আদায় করেন। সালাত আদায়ের পর তারা কিছুক্ষণের জন্য মসজিদে বসলে হঠাৎ বেশ কিছু উগ্র হিন্দু এসে তাদের মসজিদ থেকে বের করে দেয় এবং লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে আহত হন মুসল্লিরা।
এদিকে মুসলিমদের জন্য সবদিক দিয়ে ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে ভারত। যেখানে তাদের জানমালের নিরাপত্তা নেই। এমতাবস্থায় বড় আকারের গণহত্যা অত্যাসন্ন বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ। তারা মনে করেন ভারতীয় মুসলিমদেরকে অন্তত নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য হলেও হিন্দুত্ববাদের এই উগ্র জোয়ার মকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা আবশ্যক।
আল্লাহ সকল মুসলিমদের হেফাজত কর ।