সেই দিন বেশি দূরে নয় যখন আমরা সোমালিয়াতেও তা ঘটতে দেখব যা আফগানিস্তানে ঘটেছে। কারণ দুই অঞ্চলের বাস্তব অবস্থার মাঝে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। বিশেষত দুই দেশের যুদ্ধের অর্কাইভ গুরুত্বের সাথে দেখলে এবং একবিংশ শতাব্দির শুরু থেকে উভয় অঞ্চলের ঘটনাবলী ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এটাই প্রতিয়মান হয় যে, নিঃসন্দেহে মোগাদিশুর ভাগ্যে নিকট ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ তাই ঘটবে, যা পুরো বিশ্ব কাবুলে প্রত্যক্ষ করেছে। তবে সোমালিয়ার ক্ষেত্রে হয়তো কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত শান্তি চুক্তির মত ঘটনা ঘটবে না। বরং সেখানে মুরতাদ বাহিনীতে ব্যপক পলায়ন ও অপদস্থ অবস্থায় আত্বসম্পর্নের ঘটনা ঘটবে। সেই সাথে সোমালিয়া ক্রুসেডার ন্যাটো জোটের কালো বাহিনীর (AMISOM) সেনা ও শক্তি থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হবে।
একদিক থেকে সোমালিয়াও আফগানের মত বহির্শত্রুর দখলদারিত্বের শিকার। কারজায়ীর ব্যর্থ গোলাম প্রশাসনের মত একই পদ্ধতিতে এখানেও গোলাম প্রশাসন তৈরি করা হয়েছে। বরং দুই ক্ষেত্রেই ইসলামী আকৃতি দিয়ে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এই প্রশাসনের খুঁটি ভাঙ্গা কাঠ দিয়ে তৈরি, যারা বাহিরের ক্রুসেডারদের সাহায্য ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না, যেমনটা আফগানে ছিল।
সোমালিয়ার সরকার তার অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় বাজেট থেকে শুরু করে বেতন পর্যন্ত ৯০% (শতাংশ) বাহিরের সাহায্যে পূর্ণ করে থাকে। একই সাথে নিজ দেশ ও গোত্র থেকে ভয়ঙ্কর গেরিলা যুদ্ধে জর্জরিত দেশটির গাদ্দার সরকার। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব ও বিভেদ চূড়ান্ত পর্যায়ে। রাজনৈতিক ফাটল ও আভ্যন্তরীণ লড়াই এমন অবস্থায় পৌছেছে যে, অনেক পর্যবেক্ষকের মতে এটা কাবুলের পেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহর মাঝে সংঘটিত দ্বন্দ্ব থেকেও অনেক বড় হয়ে গেছে।
এই যুদ্ধের সমীকরণে ব্যর্থতার মূল দুইটি পয়েন্ট হলঃ
১ – পশ্চিমা ক্রুসেডার ও আফ্রিকান জোট এখনো পর্যন্ত সোমালিয়াতে বহিরাগত সাহায্য ছাড়া নিজস্ব জনগনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীল কোন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। যেমনভাবে তারা আফগানেও দুই দশক ধরে তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
২ – এই গোলাম প্রশাসন ও মুরতাদ বাহিনী টিকে থাকার জন্য মৌলিকভাবে বহিরাগত ক্রুসেডারদের সামরিক ও আর্থিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। যেমনটা ছিলো আফগানিস্তানে।
আমরা এই সবগুলোরই শুরু ও শেষ আফগানে দেখেছি, যেখানে সর্বশেষ মুজাহিদরাই ফসল তুলতে সক্ষম হয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।
অপর দিক থেকে সোমালিয়াতে রয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সশস্ত্র কার্যক্রম। তাঁরা কয়েক যুগ ধরে তাওহীদ ও ইসলামী শরিয়াতকে কঠোরভাবে আঁকড়ে ধরে অবিচলতার সাথে জিহাদের মানহাজ অনুসরণ করে আসছেন। এই জিহাদী আন্দোলন অনেক বিশাল ও বিস্তৃত, যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাদের রয়েছে পূর্নাংগ সামরিক বাহিনী এবং ঐক্যবদ্ধ ও একক নেতৃত্ব। যারা পূরো সোমালিয়া ও কেনিয়ার বিশাল অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছেন।
যেই প্রতিরোধ যোদ্ধারা দীর্ঘ সময় যাবত ক্রুসেডারদের প্রতিরোধ করে টিকে রয়েছেন। আর বর্তমান সময়টাকে ক্রুসেডার ও আভ্যন্তরীণ গোলামদের বিরুদ্ধে তাদের জিহাদী কার্যক্রম প্রতিরোধ যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ে অবস্থান করছে বলে গণ্য করা হয়। কেননা তারা এখন শক্তি, আক্রমণ ও বিজয়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থান করছেন। তাঁরা সোমালিয়ার ভিতর ও বাহিরে শত্রুর বিরুদ্ধে অসংখ্য আঘাত হানছেন ও বিজয় অর্জন করে এগিয়ে যাচ্ছেন। সোমালি গাদ্দার প্রশাসনের ভিতরে আশ-শাবাব তাদের যোদ্ধাদের অনুপ্রবেশ ব্যপক বিস্তৃত করছে। আর এগুলো প্রায় সকল উপাদানই আফগান যুদ্ধের ইতিহাসে উপস্থিত ছিল।
উভয় অঞ্চলের ঘটনাগুলোর মাঝে এমন বহু সাদৃশ্য রয়েছে, যার ভিত্তিতে আমরা এটা বলতেই পারি যে- ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের বীর মুজাহিদগণ দ্রুতই নির্ভয়ে বিজয়ের মুকুট মাথায় সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে প্রবেশ করবেন ইনশাআল্লাহ। নিশ্চয় মুজাহিদদের নিকটবর্তী এই বিজয়ের সুসংবাদ পূরো ইসলামী বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
সোমালিয়ায় মুজাহিদদের নিকটবর্তী এই বিজয়ের ঘটনাগুলো ভালোভবে বুঝতে হলে আমাদেরকে ফিরতে হবে পূর্ব আফ্রিকার নিকটতম অতীত ইতিহাসে। যেখান থেকে আমরা জানতে পারবো আশ-শাবাবের সংক্ষিপ্ত পরিচয়, দলটির উত্থানের কারণ, তাদের কর্মপদ্ধতি, নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের পরিধি ও সেখানকার জনগণের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। সেই সাথে নিকটবর্তী বিজয়ের প্রস্তুতির অজানা অনেক ইতিহাস। এনিয়েই আমাদের আগামী পর্বগুলো আসছে খুব শীগ্রই।
চলবে ইনশাআল্লাহ…
আলহামদুলিল্লাহ তায়ালা
Alhamdulillah
আল্লাহ এই বিজয় কে তরান্বিত করুন
জাযাকুমুল্লাহ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম!
নতুন ☀ সূর্যের উদয় ইনশাআল্লাহ অচিরেই
দেখব।
الحمدالله الله دې دا بریا ګړندۍ کړي آمین ثم آمین انشاالله ډیر ژر به لمر د دوهم ځل لپاره راښکته شي
Alhamdulillah
আল্লাহ আপনাদেরকে জাযায়েখাইর দান করেন।
মাশাল্লাহ ভাইদেরকে আল্লাহ দ্বীনের জন্যে কবুল করুন।