গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রামের মন্দির প্রাঙ্গণে কে বা কারা গোস্তের টুকরো ছুড়ে ফেলে। একাজগুলো হিন্দুদেরকে মুসলিমদের উপর ক্ষেপিয়ে তুলতে উগ্র হিন্দুরাই পরিকল্পনামাফিক করে থাকে। যা ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। আর যেগুলোতে ধরা পড়ে না, সেগুলোর দোষ চাপানো হয় মুসলিমদের উপর।
ঘটনাটি ঘটেছে তালগ্রাম থানার সীমানার মধ্যে অবস্থিত রসুলাবাদ গ্রামে। ভোর ৪টার দিকে মন্দিরের পুরোহিত জগদীশ জাটভ মন্দিরের ভেতরে মাংসের টুকরো দেখতে পায়।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ উগ্র হিন্দুত্ব জনতা মন্দির থেকে অল্প দূরে অবস্থিত মুসলিম ব্যক্তিদের মালিকানাধীন তিনটি মাংসের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় হিন্দুরা পুলিশকে খবর দেয়।
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুসলিম ব্যক্তিদের আগুন লাগিয়ে দেওয়া দোকানের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তারা মন্দির চত্বর থেকে মাংসের টুকরোগুলি সরানো এবং কম্পাউন্ডটি পরিষ্কারের কাজ করে।
তদন্ত ছাড়া দোকানে আগুন দেওয়ার পরেও উল্টো স্থানীয় হিন্দু গোষ্ঠীর সদস্যরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে এবং তালগ্রাম-ইন্দরগড় সড়ক অবরোধ করে।
সে দিন বিকেলে উত্তেজিত হিন্দু জনতা আরো তিনটি মাংসের দোকানে আগুন ধরিয়ে দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আতঙ্কিত মুসলিমরা দোকানপাট, বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এভাবেই একেরপর এক ষড়যন্ত্র করে ভারতে মুসলিমদের বসবাস কঠিন থেকে কঠিন করে তোলা হচ্ছে। আকাঁ হচ্ছে মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালিয়ে অখণ্ড রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার মানচিত্র। এমতাবস্থায় এখনি নববী মানহাজের অনুসরণ করে যথাসাধ্য প্রস্তুতি নেওয়ার জানিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবীদ হক্কানী উলামায়ে কেরাম।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Meat Thrown Into Uttar Pradesh Temple, Meat Shops Set On Fire: Police
– https://tinyurl.com/mseybu6c
আল্লাহ কাফেরদের ধ্বংশ করুন