দখলদার ইথিওপিয়ান বাহিনীর ২টি সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে হামলা চালিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ফলে ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়েছে দখলদার সৈন্যরা।
শাহাদাহ এজেন্সির বিবরণ অনুযায়ী, আজ ২০ জুলাই বুধবার বিকালে সোমালিয়ায় ২টি বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। হামলা ২টি ইথিওপিয়ার সীমান্তবর্তী ২টি জেলা শহরে চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন শহরগুলোতে দখলদার ইথিওপিয়ান বাহিনীর ২টি ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রথমে এই অভিযান শুরু করেন। যেখানে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন ভারী অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত এই অভিযানটি পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে। ফলে দখলদার ইথিওপিয়ান বাহিনী দিকভ্রান্ত হয়ে ছুটাছুটি করতে থাকে এবং যে যার মতো ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
দখলদার সেনাদের পলায়নের পর মুজাহিদগণ ঘাঁটিগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন। পরে আশেপাশের এলাকাগুলোতে চিরুনী অভিযান চালিয়ে ২টি জেলা শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গাদ্দার বাহিনীকে পলায়ন করতে বাধ্য করেন।
এরমধ্যে দিয়ে হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন অল্প সময়ের মধ্যেই বৃহৎ ২টি জেলা শহর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন। জেলাগুলো হলো সোমালিয়া এবং ইথিওপিয়ার মধ্যে কৃত্রিম সীমান্তে অবস্থিত “ইয়াদ” এবং “আটো” শহর। যেগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে দখলদারত্ব বজায় রেখেছিল ইথিওপিয়ান বাহিনী।
উল্লেখ্য যে, সোমালিয়ার প্রধানমন্ত্রী আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে “কঠিন এবং ব্যাপক লড়াইয়ের” হুমকি দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই এই অভিযানটি চালিয়েছে আশ-শাবাব। যার দ্বারা মূলত আশ-শাবাব সোমালি গাদ্দার সরকার ও দখলদার জোট বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন বলে মত প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।
Alhamdulillah
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ্