দখলদার ইসরাইলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি বড় আকারের আটক অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এই আটক অভিযানের সময় ৪৯ জন ফিলিস্তিনিকে তুলে নিয়ে গেছে দখলদার ইহুদিবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।
বিবরণ অনুযায়ী, দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গত ৩১ জুলাই রাতে এবং ১ আগস্ট ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন স্থানে এসব আটক অভিযান চালায়েছে। এবং এসময় অনেক ফিলিস্তিনিকে বিনা অপরাধে জোরপূর্বক আটক করেছে বর্বর ইসরাইলি সৈনিকরা।
প্যালেস্টাইন ইনফরমেশন সেন্টারের খবর অনুযায়ী, দখলদার ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক এই আটক অভিযানগুলি বেশিরভাগ হেবরনে কেন্দ্রীভূত ছিল। যা পশ্চিম তীরের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত।
এতে আরও বলা হয়েছে যে, আটককৃতদের অধিকাংশকে তাদের বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি বাহিনী নাবলুসের কয়েকটি এলাকায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উপর গুলি চালায় বর্বর ইসরাইলি সৈনিকরা। এতে দুই মুসলিম যুবক আহত হয়েছেন। এদিন হামলার জেরে আশপাশের কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করেছে ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনারা।
ইসরাইলিরা যখন ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর বর্বর আগ্রাসন চালাচ্ছে, আরবের গাদ্দার শাসকেরা তখন তাদের সাথে সম্পর্ক ‘স্বাভাবিক’ করতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তারা তাদের ফিলিস্তিনি ভাইদেরকে বেমালুম ভুলে গেছে। মুসলিম ভূখণ্ডসমুহের এসব গাদ্দার শাসকেরা দুনিয়ার সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে তাদের দ্বীন, সম্মান ও আত্মমর্যাদা তাদের জায়নবাদী প্রভুদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। মুসলিমদেরকে তাই এসব গাদ্দারদের অপেক্ষায় না থেকে নিজেদের মুক্তির দায়িত্ব নিজেদের কাঁধেই তুলে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন হক্কানী উলামায়ে কেরাম।