ভারতে কিছুুদিন আগেই হিজাব পড়ে স্কুলে যাওয়ায় হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম শিক্ষার্থীদের হেনেস্থা করে। পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। হিন্দুত্ববাদী আদালত মুসলিমদের ধর্মীয় বিধানের তোয়াক্কা না করে স্কুলে হিজাব নিষেদ্ধের রায় দেয়। আর বলে, স্কুল ধর্মীয় বিধান পালনের স্থান নয়। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয়, গুজরাটের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে “ভারত মাতা পূজা” করার মত শিরকী বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। অথচ, সে স্কুলগুলোতে বহু মুসলিম শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে। আর মুসলিমদের জন্য আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো উপাসনা করা বৈধ নয়। এটা সবচেয়ে বড় অন্যায়।
হিন্দুত্ববাদীরা জানিয়েছে,”জাতীয়তাবাদের চেতনাকে জাগিয়ে তোলার” প্রয়াসে, গুজরাট প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ‘আজাদি কা অমৃত’ মহোৎসবের অংশ হিসাবে ১ আগস্ট থেকে “ভারত মাতা পূজা” আয়োজন করার জন্য স্কুলগুলিতে নির্দেশ জারি করেছে৷
বিশ্লেষকগণ নির্দেশটিকে ভারতের মুসলিমদের বিরুদ্ধে “একতরফা, অযৌক্তিক এবং অসাংবিধানিক” সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন। কারণ “ভারত মাতার মূর্তির কাছে প্রার্থনা করার জন্য হিন্দুত্ববাদীদের নির্দেশ ইসলামের অনুসারী হিসাবে ইসলামের নীতির পরিপন্থী। মূর্তি পূজায় বিশ্বাস করে না এমন কোনও ব্যক্তি এই ধরনের কার্যকলাপে অংশ নিতে পারে না। মূর্তি পূজায় লিপ্ত হলে মুসলিমরা আর মুসলিম থাকে না।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) একটি শাখা (অখিল ভারতীয়) রাষ্ট্রীয় শৈক্ষিক মহাসঙ্ঘ (এবিআরএসএম) এ জঘন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
হিন্দুত্ববাদীরা একদিকে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব নিষিদ্ধ করে তাদেরকেও অমুসলিম নারীদের মতো বেহায়া বানাতে চায়। আর বাধ্যতামূলকভাবে হিন্দু ধর্মের শিরকি পূজা করিয়ে মুশরিক বানাতে চায়। এটা কি ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়? এই ব্যাপারে তাহলে কথিত প্রগতিশীলরা নীরব কেন?
তথ্যসূত্র:
——–
1. Gujarat primary schools told to hold ‘Bharat Mata Puja’ from tomorrow
– https://tinyurl.com/usdbzhxp
– https://tinyurl.com/2e23ubyn