বাংলাদেশের এমপি মন্ত্রী ও গাদ্দার সরকার হঠকারিতামূলক বক্তব্যে জনগণকে বোকা বানিয়ে রেখেছে। কথিত উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে দেশকে দেউলিয়া করে দিচ্ছে। সব ধরণের পণ্যের আকাশ ছোঁয়া দামের পর এবার আবারও সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে দালাল সরকার।
গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন, পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। পুনর্নিধারিত মূল্যে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন মূল্যে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা, অকটেনের ৪৬ টাকা এবং পেট্রোলের ৪৪ টাকা হারে। ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে এটি কার্যকর হবে।
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সেই সময় এই দুই জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। ৮ মাসের ব্যবধানে আবার বাড়ানো হলো তেলের দাম। তবে ওই সময় পেট্রোল আর অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। এবার সব ধরনের জ্বালানি তেলেরই দাম বাড়ানো হলো।
অথচ, মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে এক ভিডিও ব্রিফিংয়ে বলেছে, যে আমাদের দেশে পেট্রোল আর অকটেন কিনতে হয় না, গ্যাস উত্তোলনের সময় বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে পাওয়া যায়, শুধু ডিজেল কিনতে হয়। তাহলে এখন দাম বাড়লো কেন?
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমে যাওয়ার পরও বাংলাদেশে দাম বাড়িয়ে চলেছে দূর্নীতিবাজ আ’লীগ সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে দেশকে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
এমনিতেই দেশে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি। মানুষের বাঁচার কোনো পথ নেই। চারদিকে শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দ্রব্যমূল্য আরও বাড়বে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে।
এই সরকারের বেপরোয়া লুটপাট দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় চরম অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে। ব্যাংক খাতের অবস্থা খুবই খারাপ।
লুটপাটের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় অচল হয়ে পড়ছে। দিনে দিনে ঋণের বোঝা ভারি হচ্ছে জাতির। অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই জনগণের উপর মূল্য বৃদ্ধিকে চাপিয়ে দিচ্ছে সরকার। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকগণ। মূলত সরকার তাদের দুর্নীতি ঢাকতেই সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে।
তবে ইসলামী বিশেষজ্ঞগণ অবশ্য বলছেন, দেশে এমন একটা পরিস্থিতি অনুমেয়ই ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে কথিত গনতন্ত্রের পূজারীরা, বিশেষ করে গত ১৩ বছর ধরে পশ্চিমা এবং বিশেষ করে হিন্দুত্ববাদী ভারতের দালালি করা সরকার দেশের অর্থনিতীকে যেভাবে তিলে তিলে ধ্বংস করেছে, তাতে দেশের মানুষের এমন একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া ছিল শুধু সময়ের ব্যপার। কালোবাজারি, বিদেশে অর্থপাচার, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রজেক্ট- সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আজ একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছে এই দালাল সরকার। তাই সামনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখনি নিজেদের ও জাতিকে রক্ষায় নববি মানহাজ অনুযায়ী কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন তাঁরা।
তথ্যসূত্র:
——-
১. জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল, আরও চাপে পড়ল আমজনতা
– https://tinyurl.com/2p955ss2
২. বিশ্ববাজারে দাম কমলেও, বাংলাদেশে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের
– https://tinyurl.com/3r3s6et2
৩. ডিজেল-কেরোসিন ১১৪ টাকা : অকটেন ১৩৫ টাকা: পেট্রোল ১৩০ টাকা
– https://tinyurl.com/56zccvum