গাজায় দ্বিতীয় দিনেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল (৬ আগস্ট) হামলায় ৬ শিশুসহ মোট ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল। আজ সকালে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে উদ্ধারের পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ইসরাইল বেসামরিক লোকদের টার্গেট করে আবাসিক এলাকা ও শরনার্থী ক্যাম্পে আক্রমণ চালাচ্ছে। কেউ জানে না আগামীকাল কী ঘটবে।’
নিহতদের মধ্যে নারী-শিশুসহ বৃদ্ধও রয়েছে। উম্ম উয়ালিদ নামে এক বৃদ্ধা তার ছেলের বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সেই মুহূর্তে ইসরাইলি হামলায় নিহত হন তিনি। আজ সকালে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে ৮ জন নারী-শিশুদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ও নিহত শিশুদের ভিড়ে ভারি হচ্ছে ফিলিস্তিনের হাসপাতালগুলো।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২০৩ জন আহত হয়েছে।
আক্রমণ শুরু করার আগেই ইসরাইল গাজায় জ্বালানি পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিল। বর্তমানে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র অচল করে দিয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্কবার্তা দিয়েছে যে, এর ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই হাসপাতালগুলিতে মারাত্বক প্রভাব পড়বে।
অন্যদিকে নিরাপত্তা অজুহাত দেখিয়ে সীমান্ত ও নৌপথে মানুষের ও পণ্যের চলাচলে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে গাদ্দার মিশর ও ইসরাইল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিশর সবসময়ই ফিলিস্তিনকে পিছন থেকে চুরি চালিয়েছে।
দখলদার ইসরাইল আগ্রাসী হামলায় এতসংখ্যক ফিলিস্তিনি হতাহত হলেও এখন পর্যন্ত কথিত জাতিসংঘের কোন বিবৃতি পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে আগ্রাসী এ হামলায় ফিলিস্তিনকে নয়, বরং সন্ত্রাসী ইসরাইলকেই সমর্থন করবে জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ব সন্ত্রাসী আমেরিকা।
দখলদার ইসরাইল যুদ্ধে ন্যায়-অন্যায় যাই হোক, পশ্চিমারা ইসরাইলের পক্ষ নিবে এটাই বাস্তবতা। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় মুসলিম জাতিকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করছেন ইসলামি বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Top fighter, several children killed as Israel bombs Gaza
– https://tinyurl.com/2dbrj2m3
2. after hours of searching under the rubble, eight people, including a child and three women, were pulled out dead
– https://tinyurl.com/3twpjjvf