হিন্দুত্ববাদীরা ভারতে মুসলিম নিধন করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার জন্য মুখিয়ে আছে। মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাতে তারা দেশব্যাপী প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুবক যুবতীদেরদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বেসামরিক নাগরিকদেরকেও অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে মুসলিম হত্যার জন্য প্রস্তুত করছে।
ইতিপূর্বেও হিন্দুত্ববাদীদের বিভিন্ন অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও সামরিক প্রশিক্ষণের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেই প্রশিক্ষণের ধারাবাহিকতায় এবার আগ্নেয়াস্ত্র এবং সমরকলার প্রশিক্ষণ নিয়েছে ২৪০ হিন্দুত্ববাদী যুবক।
পরাগ নিউজ সূত্রে জানা গেছে আসামের ধুবুরী জেলার গোলকগঞ্জ জেলার পানবাড়িতে এই অস্ত্র প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে বজরং দলের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। রাষ্ট্রীয় বজরং দল অসম প্রদেশ এই সামরিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। গত ২৩-২৪ এবং ২৫ জুলাই ২০২২, এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিল রাষ্ট্রীয় বজরং দলের প্রবীণ তাগারিয়া ও অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা।
এবছর ১২ মার্চও অযোধ্যায় বজরং দলের ২৭৫ কর্মীকে প্রকাশ্যভাবে মুসলিমদের উপর হামলা চালানো, আত্মরক্ষা এবং মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একটি শিবির চালু করেছিল উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বজরং দল।
বজরং দলের কর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের সাধারণ লোকদের, এবং বিশেষ করে যুবকদের তাদের দলে ভিড়াতে ও আকৃষ্ট করতে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ভারতে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা মুসলিমদের উপর গণহত্যা বাস্তবায়ন করতে বিভিন্ন যে উদ্যোগগুলো হাতে নিয়েছে, তারই অংশ হিসেবে গণহত্যা চালাতে দলগুলো নিজেদের কর্মীদের প্রশিক্ষিত করে তুলছে।
অনেক বছর ধরে একদল মুখোশধারী হিন্দুকে দিয়ে কথিত ধর্মনিরপেক্ষতার ফাঁকাবুলি প্রচার করা হয়েছে; আর তার আড়ালে হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম নির্মূলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এখন তারা প্রকাশ্যে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলছে, সেখানে বিভিন্ন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই ক্ষেত্রে হিন্দুত্ববাদী সরকার ও প্রশাসন এবং কথিত বিশ্ব সম্প্রদায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। সুতরাং, বলা যায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে তারা তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করছে। আর এই প্রশিক্ষণ শিবির গুলোর প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছে অবসরপ্রাপ্ত হিন্দুত্ববাদী সেনা কর্মকর্তারা।
এই কাজগুলোই যদি কোন মুসলিম ব্যাক্তি বা সংগঠন নিজেদের জান-মাল-ইজ্জত এবং নিজেদের ধর্মকে রক্ষার জন্য করতো, তাহলে এই হিন্দুত্ববাদীদের দালালরা প্রবল প্রতিবাদ করতো, শুরু হতো ধরপাকড় আর গুম-গ্রেফতার। মুসলিমদেরকে সন্ত্রাসবাদী, আতঙ্কবাদী তকমা দিয়ে জুলুম নির্যাতন করতো। বাংলাদেশের কথিত সুশীলরাও হয়তো ‘বাংলাদেশে উগ্রবাদ ছরিয়ে পরা’র ভয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতো। কিন্তু এখন তারা সবাই নীরব!
হিন্দুত্ববাদী চক্র এভাবে প্রকাশ্যে মুসলিমদের হত্যার জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। পক্ষান্তরে মুসলিমরা আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নেওয়া তো দুরের কথা, হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের আওয়াজ তুলে প্রতিবাদটুকু পর্যন্ত করতে পারছে না; তন্ত্র-মন্ত্র আর কথিত অসাম্প্রদায়িকতার জালে আটকে এতটাই দুর্বল আর হীনমন্য হয়ে পড়েছে মুসলিমরা! মুসলিমদেরকে তাই নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য আর তন্ত্র-মন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নববী মানহাজ ও আদর্শে ফিরে আসতে এবং হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসের মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে আহব্বান জানিয়ে আসছেন হক্কানী উলামায়ে কেরাম।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Bajrang Dal organises weapons training for Hindus
– https://tinyurl.com/2p874ryu
2. video link
– https://tinyurl.com/4rxkkw3c
3. Bajrang Dal Starts 5-day Training Camp For 275 Volunteers In Ayodhya
– https://tinyurl.com/mrmb629t
তালেবানের আচরণে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ান প্রফেসর কাবুলে পৌঁছেছেন।
ঃ নয়া দিগন্ত