বিনা বিচারে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের হত্যার পর তাদের লাশ ফেরত না দেওয়ার, কিংবা মৃত্যুর অনেক দিন পর এমনকি অনেক বছর পর লাশ ফেরত দেওয়ার এক অমানবিক চর্চা শুরু করেছে বর্বর ইসরাইল। পৈশাচিক কর্মকাণ্ডে একের পর একে নিজেদের রেকর্ড ছাড়িয়ে মানবতার সকল সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে জায়নবাদী এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি।
গত বছর জুন মাসে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে গাড়ি চালানো অবস্থায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর টার্গেট করা গুলিতে নিহত হন এক ফিলিস্তিনি নারী। মাই আফানা নামের ঐ নারী ফিলিস্তিনের একটি কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। নিজ কর্মস্থলে যাবার সময় মাত্র ২৯ বছর বয়সেই সন্ত্রাসী ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত হন তিনি। তিনি ছোট্ট এক মেয়ে সন্তানের মা ছিলেন।
গুলিতে খুন হওয়ার পর এই সম্মানিত নারীর লাশকে নিয়ে যায় নাপাক ইহুদি সেনারা। দীর্ঘ এক বছর পর গত ২৪ আগস্ট এ নারীর লাশ ফেরত দিয়েছে সন্ত্রাসী ইসরাইল। একজন সম্মানিতা নারীর লাশের সাথে এমন অসভ্য আচরণ করার পরেও কেউ কিচ্ছুটি বলছে না।
ফিলিস্তিনি কমিশন অফ ডিটেনিজ জানিয়েছেন, তিনি ছাড়াও ইসরাইলের কাছে আরও ১০৪ জন নিহত ফিলিস্তিনি আটক রয়েছে। বিভিন্ন সময় নানা অযুহাতে খুন ও ইসরাইলি কারাগারে বন্দী অবস্থায় নিহত লাশ আটকে রেখেছে ইসরাইল। বছরের পর বছর ধরে লাশ আটকে থাকলেও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করছেনা জালিম ইসরাইল।
কথিত নারীবাদী আর প্রগতিবাদীরা শুধুমাত্র নারীদের অশ্লীল পোশাক পরার আর নোংরামির সীমা অতিক্রমের প্রতিযোগিতা করার ‘স্বাধীনতা’র পক্ষে কথা বলে। সম্মানিতা স্বাধীনা নারীদের ইজ্জত-আব্রুর বা শালীন পোশাকের স্বাধীনতার ব্যাপারে তারা একদমই মাথা ঘামায় না, টু শব্দও করে না। এমনকি নারীর লাশের সাথে এমন অমানবিক আচরণের পরেও কথিত ‘সভ্য’ জগত আর মানবতার ধ্বজাধারীরা একদম নীরব।
মুসলিম জাতির দুর্বলতা আর মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর গাদ্দারীর সুযোগ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যা ইচ্চা তাই করে যাচ্ছে জালিম ইহুদিরা। উম্মার সম্মানিত নারীদের সাথে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সাথে যে ব্যবহার করছে ইতিহাসে তা বিরল।
তথ্যসূত্র:
——-
1. ‘Israel’ hands over body of slain Palestinian woman killed last year by Israeli forces
– https://tinyurl.com/bdd5fa8k