হিন্দুত্ববাদীরা ছলে বলে কৌশলে মুসলিমদের বদনাম করতে মাঠে নেমেছে। তারা চাইছে কোনভাবে মুসলিমদের উপর দোষ চাপিয়ে পুরিপুরি মুসলিম গণহত্যার কাজ শুরু করে দিতে। সেই অপচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এবার গত ১৩ জুলাই পাটনা পুলিশ তিনজন মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল।
গ্রেফতারকৃত তিন মুসলিম ব্যক্তি হলেন আতহার পারভেজ, ঝাড়খণ্ড পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ জালালুদ্দিন এবং আরমান মালিক। তাদের নামে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) মামলা হাতে নিয়েছে এবং দুটি এফআইআর দায়ের করেছে। অথচ, তারা কোন ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত নয়।
মানবাধিকার কর্মীদের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল তদন্ত করে খুঁজে পেয়েছে যে পাটনার ফুলওয়ারি শরীফে আটককৃতরা নিরাপত্তা বাহিনী এবং হিন্দুত্ববাদী মিডিয়ার অভিযোগ ও অপপ্রচার অনুযায়ী কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেননি। হলুদ মিডিয়া ঘটনাটিকে ব্যবহার করে মুসলিম সম্প্রদায়কে বদনাম করেছে। এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে মেরুকরণ করে মুসলিম গণহত্যার মাঠ প্রস্তুত করছে।
এখানে উল্লেখ্য। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলতে তারা মুসলিমদের ফরজ বিধান জিহাদকে বুঝায়। আর শারীরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া তো যেকোন ব্যক্তির অধিকার। কিন্তু মুসলিমরা নিলেই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের মনে জিহাদের আতঙ্ক জেগে উঠে, জুলুমের রাজত্ব হারানর ভয় জেগে উঠে। তাই তারা মুসলিমদের সামান্য শারীরিক কসরতটুকুও মেনে নিতে পারে না।
এবিষয়ে পাটনার সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) মানবজিৎ সিং ধিলোন বলেছে যে, “তারা নিজেদের মাঝে মিটিং করেছে এবং শারীরিক দিয়েছে যেমন আরএসএস শাখাগুলিকে শারীরিক প্রশিক্ষণ এবং লাঠি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।” তাহলে প্রশ্ন হল, তারা আরএসএস’এর প্রশিক্ষণ নেওয়া কাউকে কেন গ্রেফতার করে না? উত্তরটা এখন সবার কাছে স্পষ্ট।
পিইউসিএল (পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ) এর একটি দল ঘটনাটির সত্যতা বের করতে এলাকা পরিদর্শন করে এবং স্থানীয় লোকজন ও অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে।
দলটি ১৮ আগস্ট পাটনায় প্রকাশিত তার ফ্যাক্ট-ফাইন্ড রিপোর্টে বলেছে, “পাটনার ফুলওয়ারি শরীফে এটি প্রতীয়মান হয়েছে যে,তারা কোনও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল না। এমন জনবসতিপূর্ণ জায়গায় অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ তোলা অত্যন্ত অবাস্তব।” মূলত মুসলিমদের বনাম করতেই এমনটা করা হয়েছে।
এভাবেই হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে একেরপর এক মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেই তালে হাওয়া দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী মিডিয়াগুলো। একই চিত্র চলছে বাংলাদেশেও। হিন্দুরা নিজেরাই অপরাধ মূলক কাজ করে দোষ চাপিয়ে দেয় মুসলিমদের উপর। আর তাদের মিডিয়াগুলো সেসব রটনা যাচাই ছাড়াই প্রচার করে। এরা সকলে মিলে যেকোন অজুহাতে মুসলিম গণহত্যা ত্বরান্বিত করতে চাইছে; সে সতর্কতা পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরাও দিয়েছেন। মুসলিমদের তাই এখন প্রতিরোধ ভিন্ন অন্য কোন উপায় নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ।
তথ্যসূত্র:
——–
1. No Terror Activities in Phulwari Shareef, Media Vilifying Muslims: Fact-Finding Report
– https://tinyurl.com/4exyj4tp