আফগানিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করার পর থেকেই, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি নতুন করে গড়ে তুলতে ইমারাতে ইসলামিয়া প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ হচ্ছে, আফিম সহ সকল মাদকদ্রব্য চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
এই আফিম চাষ তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারের আমলগুলোতে আফগান জনগণের আয়ের একটি বড় উৎস ছিল। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের বড় এই অংশটিকে মাদক চাষ থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি তাদেরকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করতে তালিবান সরকার বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেন। মাদকের পরিবর্তে জাফরান ও গম চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন তারা। এতে তারা সফলও হয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ফলশ্রুতিতে, ২০০১ সালের মতো আফগানিস্তানে মাদক চাষ আবারও শূন্যে চলে এসেছে।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে, তালিবান সরকারের তত্তাবধানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা পরীক্ষামূলক ভাবে গম ও জাফরান চাষ করেছেন। এর ফলনও এখন ঘরে উঠাতে শুরু করেছেন কৃষকরা। আফগান কৃষকদের মতে, “গম এবং জাফরান চাষে আমরা যে এতটা সফল হবো, তা ছিলো অকল্পনীয়।”
একজন কৃষক জানান, “অন্যান্য বছর আফিম চাষ করে আমরা যা আয় করেছি, এবার সরকারের পরামর্শে জাফরান চাষ করে তার চেয়ে বেশি ফলন পেয়েছি। ফলে আমাদের আয়ও আগের চেয়ে বেড়েছে।” গম চাষীরাও একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া সরকারের নানগারহার কৃষি বিভাগ বলেছে, তাঁরা হিসারক জেলার কিছু কৃষককে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে জাফরান বীজ দিয়েছিলেন। প্রথমবার হিসেবে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। ঐ কর্মকর্তার মতে, “এই সফলতার কারণে কৃষকরা জাফরান চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আর আমরাও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জাফরানের আবাদ বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছি।”
উল্লেখ্য যে, জাফরানকে রেড গোল্ড বা লাল সোনা বলা হয়ে থাকে। বিশ্ব বাজারে আফগানিস্তানের এক কেজি জাফরানের দাম প্রায় ২,০০০ ডলার। বিশ্ব বাজারে এর চাহিদাও অনেক। ঔষধ, খাদ্যসামগ্রী ও রান্নার পাশাপাশি অনেক রোগের প্রতিকার হিসাবে জাফরান ব্যবহার হয়ে থাকে।
এ বছর আফগানিস্তানের ৩০টি প্রদেশে প্রচুর জাফরান চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জাফরান চাষ হয়েছে হেরাত প্রদেশে। তালিবান কর্মকর্তারা জানান, “জাফরানকে আমরা আফগান কৃষকদের আয়ের একটি প্রধান উৎস হিসাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।”
এ বছর আফগানিস্তানে শুধু জাফরান বা গমের ফলনই ভালো হয়েছে এমন নয়। বরং, কৃষকরা বলছেন, এ বছর দেশে সব ধরনের ফসল যে পরিমাণে উৎপাদন হয়েছে, ইতিপূর্বে এতো ফলন কোন বছর হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
কৃষিখাতে এমন অভূতপূর্ব উৎপাদন দেখে মনে হচ্ছে, যুদ্ধবিদ্ধস্ত, ক্লান্ত-শ্রান্ত দেশটির ভূমি তাঁর প্রকৃত মালিককে খুঁজে পেয়েছে। ফলে জমিন তাঁর ভিতরে লুকিয়ে রাখা সম্পদ বের করে দিচ্ছে। আল্লাহ্ তাআ’লা এই ভূমি ও তাঁর অধিবাসীদের আরো বারাকাহ দান করুন! আমিন।
এ বছর আফগানিস্তানে শুধু জাফরান বা গমের ফলনই ভালো হয়েছে এমন নয়। বরং, কৃষকরা বলছেন, এ বছর দেশে সব ধরনের ফসল যে পরিমাণে উৎপাদন হয়েছে, ইতিপূর্বে এতো ফলন কোন বছর হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
সুবহাল্লাহি ওয়াবিহামদিহ!!
এ বছর আফগানিস্তানে শুধু জাফরান বা গমের ফলনই ভালো হয়েছে এমন নয়। বরং, কৃষকরা বলছেন, এ বছর দেশে সব ধরনের ফসল যে পরিমাণে উৎপাদন হয়েছে, ইতিপূর্বে এতো ফলন কোন বছর হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
subhanallah