পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সম্প্রতি ২টি সফল হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। এতে দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত ১৮ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, দু’টি হামলার প্রথমটি গত ২২ নভেম্বর বান্নু প্রদেশের মালখেল এলাকায় চালানো হয়েছে। যেখানে গাদ্দার বাহিনীর একটি সামরিক কনভয় মুজাহিদদের অবস্থানে হামলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। আর মুজাহিদগণ এই তথ্য পাওয়া মাত্রই পজিশন ঠিক করে প্রস্তুত হয়ে যান।
গাদ্দার বাহিনীর সামরিক কনভয়টি যখনই মুজাহিদদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে, তখনই মুজাহিদগণ চতুর্দিক থেকে সামরিক কনভয় টার্গেট করে ভারী অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা তীব্র হামলা চালাতে শুরু করেন। এতে গাদ্দার বাহিনীর ৫টি যানবাহন ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সাথে ১০ এর বেশি গাদ্দার সৈন্য নিহত হয়, আহত হয় আরও অনেক বেশি।
এরপর গত ২৫ নভেম্বর রাতে একই প্রদেশের মারানশা-সারুবি এলাকায় গাদ্দার বাহিনীর উপর পাল্টা আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। যাতে গাদ্দার বাহিনীর অন্তত ৭ সৈন্য নিহত হয়। বাকিরা আহত হয়ে পালিয়ে যায়। একইভাবে শুক্রবার মধ্যরাতে দোসলী-দিনুর এলাকায় গাদ্দার বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ হয় টিটিপির মুজাহিদদের। এতে ১ সেনা নিহত এবং আরও বেশ কিছু সেনা সদস্য আহত হয়। বাকিরা পালিয়ে গেলে উক্ত এলাকার সিকিউরিটি ক্যামেরাগুলি ভেঙে ফেলেন মুজাহিদগণ- আলহামদুলিল্লাহ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সীমান্তের উভয় দিক থেকেই চাপে রয়েছে গাদ্দার পাকি সেনা-প্রশাসন। ইসলামি চিন্তাবিদগণ তাই আশা প্রকাশ করছেন যে, অচিরেই হয়তো ইংরেজদের একে দেওয়া কাল্পনিক সীমান্ত ডুরান্ড লাইন মুছে দুই সীমান্তই মুসলিমদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্।
আর বর্তমানে যে এলাকায় যুদ্ধ চলছে, তা মুক্ত হলে ধীরে ধীরে কাশ্মীরের সাথে আফগানিস্তানের ভূমির দূরত্ব কমে আসবে ইনশাআল্লাহ্।
ইনশাআল্লাহ একদিন “ইংরেজদের তৈরি কাঁটাতারের বেড়া ” আল্লাহর পথের মুজাহিদীনগন ভেঙে দিবেন।
পাকিস্তান, কাশ্মিরি, হিন্দ হয়ে বাংলাও একদিন বিজয়ের কালিমার পতাকা ফতফত করে উড়ঁবে – ইনশাল্লাহ।