গত ২৪শে নভেম্বর রাতে পূর্ব তুর্কীস্তানের উরুমকি শহরের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে প্রায় ৪০ জনেরও বেশি উইঘুর মুসলিম তাদের প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ দখলদার চাইনিজ প্রশাসন এটি নিয়েও মিডিয়াতে লাগাতার মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
উরুমকি ট্র্যাজেডির পর দখলদাররা তাদের প্রেস বিবৃতিতে মাত্র ১০ জন মৃতের কথা স্বীকার করেছে। তারা আরও বলেছে যে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যাবার পরেই উদ্ধার কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও আহতদেরকে হাসপাতালে নিতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করেছে। যদিও বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
স্থানীয় উইঘুর মুসলিমরা বলছেন, এই অগ্নিকাণ্ডে ৪০ জনেরও অধিক মুসলিম তাদের প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু। এছাড়াও যাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তারাও এখন মারা যাচ্ছেন।
উইঘুর মুসলিমরা বলছেন, এতবড় ক্ষয়ক্ষতির পেছনে যতটা না দায় অগ্নিকাণ্ডের, তার চেয়েও বেশি দায় হলো দখলদারদের কঠোর লকডাউনের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে দেখা গিয়েছে, কিভাবে দখলদাররা আগুন লাগা ভবনে উইঘুর মুসলিমদের ঘরের দরজা কাঁটাতার দিয়ে আটকে রেখেছিলো। এমনকি উইঘুররা যেন কোন মতেই ঘর থেকে বের না হতে পারে সেজন্য তারা ভবনের মেইন গেট ও ছাদেও তালা লাগিয়ে রেখেছিলো। যার ফলে আগুন লাগার পর অনেক উইঘুর তাদের ঘর থেকে বের হতে পারলেও ভবনের নিচতলা ও ছাদ তালাবদ্ধ থাকায় সেখানেই আগুনে পুড়ে মারা যান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, ভবনের মূল ফটক তালাবদ্ধ থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেরকে বেশ দূর থেকেই পানি ছিটাতে হচ্ছে। যদিও সেই পানি দিয়ে আগুন নেভানো যাচ্ছিলো না।
উল্লেখ্য যে, কথিত ‘জিরো কোভিড নীতি’ বাস্তবায়ন করতে দখলদার প্রশাসন ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে উইঘুর মুসলিমদের তাদের নিজেদেরই ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। আর এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে এখন উইঘুর মুসলিমরা দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেছে।
তথ্যসূত্রঃ
———
1. The Chinese government is trying to avoid responsibility for the fire in Urumqi
– https://tinyurl.com/ybpyyj76
– https://tinyurl.com/3xpp3byz