ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় সন্ত্রাসী বিএসএফ-এর গুলিতে আরিফুল ইসলাম নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি ভোরে উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের লড়াইঘাট সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের পর লাশ নিয়ে যায় সন্ত্রাসী বিএসএফ।
নিহতের স্বজনেরা জানিয়েছেন, উপজেলার লড়াইঘাট সীমান্তে ভোরে হাঁসখালি পাখিউড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা খুব কাছ থেকে টার্গেট করে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই আরিফুলের মৃত্যু হয়। এ সময় আরও এক বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তখন তারা ভারত থেকে গরু আনতে গিয়েছিল।
অন্যদিকে, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্তেও একই দিনে বিএসএফ-এর গুলিতে হুমায়ুন ফরিদ নামে এক পাথর শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের জায়গীরজোত-কদমতলা এলাকায় ৭৩২/১-এস পিলারের কাছে মহানন্দা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আরেক পাথরশ্রমিক তরিকুল ইসলাম জানায়, ‘আমি ও হুমায়ুনসহ একদল পাথর শ্রমিক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কদমতলা এলাকায় বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে মহানন্দা নদী থেকে পাথর তুলতে গেলে বিএসএফ নিষেধ করে। তখন ফেরার সময় হঠাৎ বিএসএফ গুলি করলে হুমায়ূনের শরীরে গুলি লাগে। গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
বাংলাদেশ সরকারের ভারতপ্রীতি ও নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে সন্ত্রাসী বিএসএফ-এর অত্যাচার শুধু সীমান্তেই বেড়েছে তা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও তাদের নিপীড়ন দিন দিন বাড়ছে। দেশের সীমান্ত এলাকার মানুষ সর্বদায় আতঙ্কে দিন কাটায়। এমনকি অনেক জায়গায় জমিতে চাষাবাদ করতেও মানুষ ভয় পায়।
অথচ ভারতের লাখ লাখ লোক বাংলাদেশে কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে। বাংলাদেশ থেকে ট্রানজিট নিচ্ছে। ভারতের কোন পশু-পাখিও যদি এ দেশে চলে আসে সরকার খুব যত্নসহকারে এটিকে ভারতে ফেরত দিচ্ছে। বিপরীতে কোন বাংলাদেশি মুসলিম যদি ভুলেও সীমান্ত পার হয়, তাকে গুলি করে হত্যা করছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা।
তথসূত্র:
——-
১। মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
– https://tinyurl.com/4w8zyzsv
২। বাংলাবান্ধা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত
– https://tinyurl.com/m82x5hjr
আল্লাহ্ পাক হানাদার বাহিনী কা dhansa কোরো.