মালি ট্র্যাজেডি: ওয়াগনারের গণহত্যার শিকার ৪৩ বেসামরিক মুসলিম

- ত্বহা আলী আদনান

0
755

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে মুসলিম বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে রাশিয়ান ওয়াগনার বাহিনী নতুন করে গণহত্যা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আঞ্চলিক সূত্র অনুযায়ী, মালিতে রাশিয়ান ভাড়াটে ওয়াগনার মিলিশিয়া বাহিনী এবং সামরিক জান্তা সরকার তাদের সাধারণ মুসলিমদের গণহত্যার মিশন অব্যাহত রেখেছে। ওয়াগনার বাহিনী সামরিক জান্তার সাথে মিলে দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে নতুন করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ওয়াগনার বাহিনী দেশের মধ্যাঞ্চলের কৌলিকোরো প্রদেশের ৭টি গ্রামে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে।

ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনী ওয়াগনারের বর্বরোচিত এই হামলায় কমপক্ষে ৩৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েক ডজন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন। এছাড়াও আরো ৪০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোককে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আয-যাল্লাকা সূত্রে এটি উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্বরোচিত হামলাগুলি বামবারা এবং ফুলানি জাতিগত মুসলিম বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

অপরদিকে গত ১৩ আগস্ট ওয়াগনার মিলিশিয়া এবং জান্তা সৈন্যরা টিমবুকটু রাজ্যের বীর শহরের বার বসতিতে প্রবেশ করেছিল। এসময় তারা এই এলাকায় আরও ৭ জন বেসামরিক মুসলিমকে হত্যা করে এবং ৯ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। অঞ্চলটিতে বসবাসরত তুয়ারেগ সম্প্রদায়ের মুসলমানদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছিল ওয়াগনার ও সামরিক জান্তার যৌথ দল।

এটি উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি মালিতে জান্তা বাহিনী এবং রাশিয়ান ওয়াগনার মিলিশিয়া দ্বারা বেসামরিক গণহত্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মধ্য মালি থেকে উত্তর এবং দক্ষিণের মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে এই মর্মান্তিক ট্র্যাজিডি চালানো হচ্ছে। এই ওয়াগনারকেই আবার নিজারে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে সেখানকার সদ্য ক্ষমতা গ্রহণকারী সামরিক জান্তা।

মালির বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ করা ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মর্মান্তিক এই ট্র্যাজিডি নিয়ে লিখিত একটি বিবৃতিতে প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, মালির ধর্মত্যাগী জান্তা সরকার এবং রাশিয়ান ভাড়াটেরা এই অঞ্চলে মুসলিম জনগণকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।

আর ইতিপূর্বেও যেহেতু আইএস সদস্যরা গণহত্যা চালানোর সময় জেএনআইএম যোদ্ধারা তাদেরকে নির্মূল করে সাধারণ মুসলিমদের রক্ষা করেছে, তাই আশা করা হচ্ছে যে, এবার ওয়াগনার বাহিনী কর্তৃক মুসলিম গণহত্যা প্রতিরোধে জেএনআইএমের প্রতিরোধ যোদ্ধারা যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপশ্চিম তীরে আরও তিন ফিলিস্তিনিকে খুন
পরবর্তী নিবন্ধআল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (রহ.): বাংলার মুসলিমদের দুর্দিনের রাহবার