ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গুমলা জেলায় একটি মন্দিরে মাংসের টুকরা নিক্ষেপের ঘটনার প্রেক্ষিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে ঘটনায় জড়িত ৩ হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাধাতেই তারা এমনটি করেছিল বলে জানা গেছে।
ঘটনার সূত্রপাত গুমলা জেলার টিটো এলাকার একটি শিবমন্দিরে মাংসের টুকরা নিক্ষেপ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এলাকায় ব্যাপক বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। উগ্র হিন্দুত্ববাদী বজরং দল এবং ভিএইচপি (বিশ্ব হিন্দু পরিষদ) ২৩ আগস্ট সব বন্ধের ডাক দেয়। আর এমন পরিস্থিতির মাঝেই সংবাদ আসে যে, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৩ হিন্দু যুবককে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, এসপির নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল অভিযুক্ত রাজদীপ কুমার ঠাকুরকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে যে, অভিযুক্ত রাজদীপ এবং গলু উক্ত মন্দিরে মাংস নিক্ষেপ করে এবং মূর্তি ভাংচুর করে। আর তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গা উস্কে দেওয়া।
দাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারীদের আটকের পর পুলিশ সেই মন্দিরে গিয়ে মাংসের টুকরোটি সরিয়ে পুরো মন্দির ধুয়ে পরিস্কারের কাজ সম্পন্ন করে।
এবিষয়ে ভিএইচপির মুখপাত্র মুকেশ সিং বলেছেন যে, হিন্দুদের পবিত্র মাসে তাদের প্রার্থনা বিনষ্ট করা হচ্ছে। আর ভিএইচপির পক্ষ থেকে এই ইস্যুতে পুলিশকে দোষারোপ করে বলা হয় যে, পুলিশের নিরলিপ্ততার কারণেই রাজ্যে কসাইখানাগুলো এখনো গোপনে বেআইনিভাবে চলছে, আর তার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
———-
1. Meat thrown in Shiva temple, accused Rajdeep arrested; Today VHP district bandh
– https://tinyurl.com/ha8a23f2