সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বাকুল রাজ্যে দখলদার ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে বড় ধরণের সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট হারাকাতুশ শাবাব যোদ্ধারা। অভিযানে প্রায় আড়াই শত ইথিওপিয়ান সৈন্য নিহত হয়েছে, পাশাপাশি অসংখ্য সৈন্য শাবাবের হাতে যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে সোমালিয়ার বাকুল রাজ্যের রাবধুর শহরের কাছে একটি সেনা কনভয় টার্গেট করে অভিযানটি চালানো হয়েছে। কনভয়টি যখন ইথিওপিয়া থেকে রওয়ানা হয়ে সোমালিয়ার ওয়াজিদ শহরের দিকে যাচ্ছিল, তখন রাবধুর শহরের উপকন্ঠে পৌঁছামাত্রই শাবাবের অতর্কিত অ্যাম্বুশের কবলে পড়ে।
সূত্রমতে, আশ-শাবাবের দুজন ইস্তেশহাদী মুজাহিদ কনভয়টি লক্ষ্য করে একযোগে দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটান, এরপর ভারী অস্ত্রধারী শাবাব যোদ্ধারা কনভয়টি লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ চালান।
প্রতিরোধ যোদ্ধাদের এমন ক্ষিপ্র আঘাতে ইথিওপিয়ান বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে শুরু করে। এসময় শাবাবের হাতে অসংখ্য সৈন্য মারা যায় এবং আরও অনেক সৈন্য যুদ্ধবন্দী হয়।
আশ-শাবাবের সামরিক বিভাগ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, “ইথিওপিয়ানরা ওয়াজিদ শহরে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিতে তাদের দখলদার সৈন্যদের শক্তিশালী করার জন্য সরবরাহ নিয়ে ইথিওপিয়া সীমান্ত অতিক্রম করে। এরপরই তাদের উপর অতর্কিত এই আক্রমণটি চালানো হয়। আক্রমণকারী মুজাহিদগণ শত্রুদের চমকে দিয়ে তাদের সুপরিকল্পিত এই অভিযানটি চালান। এতে শত্রুবাহিনী তাদের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, বিশৃঙ্খল ও আতঙ্কিত অবস্থায় সরবরাহ কনভয় ছেড়ে জঙ্গল এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।”
বিবৃতিতে আরও নিশ্চিত করা হয়েছে যে, মুজাহিদদের সফল এই অ্যাম্বুশে ইথিওপিয়ান সামরিক বাহিনীর ২৪৯ সৈন্য নিহত এবং আরও কয়েক ডজন সৈন্য মুজাহিদদের হাতে বন্দী হয়েছে। সেই সাথে মুজাহিদগণ কয়েক ডজন ট্যাংঙ্ক, সাঁজোয়া যান, ট্রাক, গাড়ি ও অসংখ্য অত্যাধুনিক অস্ত্র সহ ইথিওপিয়ান বাহিনীর পুরো সরবরাহ কনভয়টি জব্দ করেন।
অভিযানের কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে হারাকাতুশ শাবাবের অফিসিয়াল মিডিয়া থেকে এই অভিযানের ১২০ টিরও বেশি ছবি প্রকাশ করেন। এসব ছবিতে শত শত সেনার লাশ ও জব্দ করা কনভয়টির বিভিন্ন সাঁজোয়া যান ও অস্ত্রগুলো দেখানো হয়।
আশ-শাবাবের বিবৃতিতে আফ্রিকায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইথিওপিয়ার আগ্রাসনের ইতিহাস উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, “সোমালিয়ায় ইথিওপিয়ান সেনাবাহিনীর আগ্রাসন বরদাস্ত করা হবে না।… রাবধুর শহরের উপকন্ঠে মুজাহিদদের পরিচালিত আজকের আক্রমণটি ছিল ইথিওপিয়ান সেনাদের এসব নৃশংসতার প্রতিক্রিয়া।”