মৃণাল কান্তির প্রকাশ্য ইসলাম অবমাননা

- আব্দুল্লাহ বিন নজর

3
611
নামাজ চলায় মিছিল বন্ধ করতে বলা ব্যক্তিকে কটাক্ষ করছে মৃণাল কান্তি দাস। ইনসেটে মৃণাল কান্তি দাসের ফাইল ছবি।

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার এদেশে হিন্দুত্ববাদীদের প্রভাব বৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়া এবং ভারতকে নানান অনৈতিক সুবিধা প্রদানের কারণে সমালোচিত। তাদের আমলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সহ সকল ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারীদের অধিকাংশেরই ভারতের সাথে লিয়াজু রক্ষা করে চলার বিষয়টিও প্রমাণিত।

শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতা মৃণাল কান্তি দাস তেমনই একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। সম্প্রতি ঘোষিত নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ ৩ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এই মৃণাল কান্তি দাস।

গত ১৮ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃণাল কান্তি দাসের নির্বাচনি প্রচারাভিযানের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান দেখা যায়, মৃণাল কান্তি দাস মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পাশ থেকে তার দলেরই একজন কর্মী নামাজ চলমান থাকায় মিছিল না করতে বলে; উপস্থিত এক মহিলাকেও নামাজের বিষয়ে বলতে শোনা যায়।

একথা শুনে মৃণাল কান্তি দাস ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলেরই ঐ নেতাকে ধমক দেয় ও শাসাতে থাকে। মিছিল তো বন্ধ করেই নি বরং ঐ ব্যক্তির মদপানের প্রসঙ্গ এনে নামাজকে জড়িয়ে সে অশোভন মন্তব্যও করে। ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে এবং নামাজের প্রতি তার বিদ্বেষ উগরে দেয় সে।

৯০ ভাগ মুসলিমের দেশে মৃণাল কান্তিরা ক্ষমতার দাপটে এভাবেই প্রকাশ্যে ইসলাম ও ইসলামের বিধিবিধানকে অবমাননা করে বেড়ায়। আর মুসলিমরা এর জোরালো কোন প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনা।

3 মন্তব্যসমূহ

  1. ক্ষমতার দাপট সারাজীবন থাকে না। সময়ের পালা বদলে যখন ইসলামী খেলাফত কায়েম হবে, তখন এদের মত লোকদেরকে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ করতে হবে। আর কারো সামর্থ থাকলে যেকোন সময় যেকোনভাবে হত্যা করে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিতে পারে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানে শীঘ্রই উদ্বোধন হবে খাফ-হেরাত রেলওয়ে
পরবর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৩