তিন মাসের অধিক সময় ধরে গাজা উপত্যকায় দখলদার জায়োনিস্ট বাহিনী বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে। শহীদ, আহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে সেখানে। হাজার হাজার মুসলিম হত্যা ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পরও চলমান নৃশংস অত্যাচার অব্যাহত রাখতে পেরেছে তারা। কেউ কোনো বাধা দেয়নি তাদের। কার্যকর হস্তক্ষেপের অভাব এবং পশ্চিমা দেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য মদদের কারণেই জালেমরা আরো বেপরোয়া-উদ্ধত হয়ে উঠেছে।
প্রশ্ন হলো গাজার বেসামরিক জনগণের কী অপরাধ? কেন তাদেরকে দখলদার বাহিনী অবিরাম মিসাইল ও বুলেটের টার্গেট বানাচ্ছে? এই জাতি দীর্ঘ সময় ধরে অত্যাচার ও অবিচারে জর্জরিত হয়ে আসছে। তথাকথিত যেসব সংস্থা নির্যাতিত জনগণ ও তাদের ভূমিকে সহযোগিতার দাবি করে থাকে, তারা এক্ষেত্রে নীরব ভূমিকায় রয়েছে। আর এখন আমরা ফিলিস্তিনিদের ঘর ও গ্রাম উচ্ছেদ ও ধ্বংসের সাক্ষী হচ্ছি ।
কোনো আত্মপক্ষ সমর্থন ব্যতীতই জায়োনিস্ট দল একটি নিরপরাধ জাতির বিরুদ্ধে নির্মম যুদ্ধ চলমান রেখেছে। মনে হচ্ছে, জায়োনিস্টরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, গাজাবাসী তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার না করার আগ পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম থেকে পিছপা হবে না, একারণে তাদেরকে পুরোপুরি নির্মূল করার সংকল্প গ্রহণ করেছে জায়োনিস্টরা। যদিও তাদের এই আশা কখনো পূরণ হবে না।
নিঃসন্দেহে গাজা একটি কসাইখানায় পরিণত হয়েছে এবং গাজার যুবকরা ক্রমেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তারপরও এই ভূমিতে শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না । প্রতিজন শাহাদাতের বিপরীতে ডজন ডজন মুজাহিদ তৈরি হবে এবং মাতৃভূমির জন্য নিজ জীবন বিসর্জন দেবে। ফলে পবিত্র ভূমিতে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হবে ইনশাআল্লাহ । এটাই মহান আল্লাহর ইচ্ছা, ত্যাগ স্বীকার ব্যতীত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। যারা এর ভিন্ন চিন্তা করে তারা ধোঁকার মধ্যে রয়েছে।
আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত দখলদার ইহুদিরা সব ধরনের নিপীড়ন ও অত্যাচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে তারা অবশ্যই বুঝবে যে, এসব কিছুর হিসাব-নিকাশের দিন আসছে। সেদিন যখন অসহায় নিপীড়িতদের হাতে ক্ষমতা স্থানান্তরিত হবে, তখন দখলদার ইহুদিরা লুকোনোর কোনো স্থান খুঁজে পাবে না। কিছুই তাদের বাঁচাতে পারবে না, এমনকি পাথর কিংবা গাছও মুসলিমদের নিকট ইহুদিদের আত্মগোপনের স্থানগুলো প্রকাশ করে দেবে, হত্যা করতে বলবে। সেদিন খুব বেশি দূরে নেই ইনশাআল্লাহ।
ইমারতে ইসলামিয়ার অফিসিয়াল সাইট থেকে সংগৃহীত ও ঈষৎ পরিমার্জিত
তথ্যসূত্র:
1. Time will change for Palestinians as their struggle eventually bears fruit
– http://tinyurl.com/37vu9dtk