সৌদি আরবে ধর্মীয় বিধান ও ঐতিহ্য ভেঙে প্রথমবারের মতো মদের দোকান খোলা হচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের এ প্রাণকেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক ইসলাম বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে আসছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এরই অংশ হিসেবে এবার মদের দোকান চালু করতে যাচ্ছে দেশটিতে ।
নতুন এই মদের দোকানটি রিয়াদের কূটনৈতিক কোয়ার্টারে অবস্থিত। মূলত এই অঞ্চলটিতেই দূতাবাস এবং কূটনীতিকরা বসবাস করে। বুধবার রয়টার্সের হাতে পাওয়া একটি নথি এবং মদের দোকান স্থাপনের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, আগামী সপ্তাহগুলোতে দোকান খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রয়টার্সের হাতে পাওয়া নথি অনুযায়ী, মুসলিমদের জন্য মদ ক্রয় ‘সীমাবদ্ধ’ থকবে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে একটি ক্লিয়ারেন্স কোড পেলে প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ কিনতে পারবেন রেজিস্ট্রেশনকারীরা। এই রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে মদ পাওয়ার সুযোগ থাকায় ধীরে ধীরে তা মুসলিমদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করেন ইসলামিক স্কলাররা।
তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পর্যটননির্ভর সৌদি আরব গড়ে তুলতে ভিশন ২০৩০ প্রকল্প হাতে নিয়েছে রিয়াদ, যার অন্যতম কারিগর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এই প্রকল্পের আওতায় সৌদি আরবকে বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোহাম্মদ বিন সালমান ইসলামি বিধিনিষেধগুলি অনেকটাই শিথিল করেছে। অপর দিকে ক্ষমতায় থাকার জন্য বেশ কিছু ইসলাম বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন দেশকে অধর্মীয় পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত করা, কনসার্ট করা, পাবলিক প্লেসে নারী-পুরুষ অবাধ চলাফেরা এবং নারীদের পোষাকের স্বাধীনতা প্রদান। সে সঙ্গে হক্বানী আলেম ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে রয়েছে তার কঠোর অবস্থান।
কত্ত বড় জাহেলিয়াত! নাউজুবিল্লাহ