সুড়ঙ্গে আটকে পড়াদের উদ্ধারে নিয়োজিত অন্যতম কর্মীর বাড়ি ভেঙ্গে দিলো হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন

1
154

গত বছরের নভেম্বরে ভারতের উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকদের উদ্ধারে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ওয়াকিল হাসান। পেশায় তিনি একজন ‘র‍্যাট হোল মাইনার’ (সরু গর্তের মাধ্যমে খননকারী)। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য হাসান সবার কাছে তখন বেশ প্রশংসার পাত্র হয়ে ওঠেন।

তবে তার এই অবদানের কথা বেশিদিন মনে রাখতে পারেনি ভারতের ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। প্রতিদান হিসেবে তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারী দিল্লী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ডিডিএ) খাজুরী খাস গ্রামে বুলডোজার দিয়ে তার বাড়ি ধসিয়ে দেয়। ডিডিএ বলছে, হাসানের বাড়ি যে জমিতে ছিলো, সেটি দিল্লীর পরিকল্পিত উন্নয়ন জমির অংশ। এছাড়া তারা আগাম নোটিশ দেওয়ার পরেই অভিযানটি পরিচালনা করেছে।

তবে হাসান ও তার পরিবার বলছে ভিন্ন কথা। তাদের অভিযোগ, কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই কর্তৃপক্ষ বাড়িটি ধসিয়ে দিয়েছে।

হাসানের স্ত্রী বলেছেন, “তারা আমার স্বামী ওয়াকিল হাসান, আমার মেয়ে ও আমার ছেলেকে এবং আরও একজন ‘র‍্যাট হোল মাইনার’ মুন্না কুরেশিকে আটক করেছে। এমনকি আমাদেরকে বাচ্চাদের রেজাল্ট কার্ডও নিতে দেয়নি। এখন আমরা কোথায় যাবো?”

হাসান অভিযোগ করেন যে, “আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচানোর জন্য দ্বিতীয়বার চিন্তা করিনি। আর কর্তৃপক্ষ এভাবেই আমার সন্তানদের গৃহহীন করে ঋণ শোধ করেছে। অভিযানের সময় আমার ১৫ বছরের মেয়েও আহত হয়েছে। আমি ডিডিএ টিমকে এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করার জন্য অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমার কোন কথা শোনেনি। অভিযানের সময় তারা শুধু আমার বাড়িটিই ধ্বংস করেছে।”


তথ্যসূত্র:
1. House of Uttarakhand tunnel rat-hole miner razed in demolition drive in Delhi
https://tinyurl.com/syzyzmwv
2. “My house was the only thing that I had asked for
https://tinyurl.com/3d8cpj92
3. In #Delhi’s #KhajuriKhas, a protest was held
https://tinyurl.com/yp445p6y
4. In a video Hasan’s wife said her husband was a hero
https://tinyurl.com/2tmajn5f

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধতুষারে আটকে পড়া ৬০ জনকে দ্রুত উদ্ধার করল ইমারতে ইসলামিয়ার সেনাবাহিনী
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হতে পারে