ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় দুই মুসলিম ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রতিবাদকারীদের উপর টিয়ারশেল এবং গুলি বর্ষণ করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। পুলিশের হামলায় অনেকে হতাহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে মধুখালী রেলগেটে মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়। স্থানীয় সর্বসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি পালনে সেখানে সমবেত হন হাজারও জনতা। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। এ সময় সমবেতরা একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, কামারখালী ব্রিজের অদূরে মাঝিবাড়িতে ও বাগাটের ঘোপঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষুব্ধরা মহাসড়কে উঠে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে! এতে জনতা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এরপর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।
এর আগে গত ১৮ই এপ্রিল রাতে দুই মুসলিম তরুণকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল উগ্র হিন্দুরা। ঐসময় বাংলাদেশ পুলিশকে আটকে রেখে তাদের উপস্থিতিতেই হত্যা করা হয় দুইজন মুসলিমকে। তখন পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন ব্যক্তিবর্গ। পাশাপাশি দুই মুসলিম ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে পুলিশি হামলার সমালোচনাও করেছেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন লিখেছেন, “সেদিনতো ঠিকই পুলিশকে আটকে রেখে মুসলিম দুই ভাইকে হত্যা করলো উগ্র হিন্দুত্ববাদী জঙ্গিরা। সেদিন পুলিশের কথিত লাঠি চার্জ, টিয়ারশেল কোনো কাজে দেয়নি। আজ জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে যত মাস্তানী দেখাতে হলো এদের (পুলিশের)।”
তথ্যসূত্র:
১. দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ফরিদপুরে সড়ক অবরোধ: টিয়ারশেল-ফাঁকা গুলি বর্ষণ
– https://tinyurl.com/mwzu9u2v