ফিলিস্তিনের গাজাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে ভয়াবহ ছক কষেছে দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু তার এই নীল নকশায় এখন আর সমর্থন দিতে চায় না সাধারণ ইসরায়েলিরা। এমনকি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন যেসব ইসরায়েলিকে ধরে নিয়ে গেছে, তাদের এখনো মুক্ত করতে পারেনি নেতানিয়াহু। তাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল গোটা ইসরায়েলে।
দেশটির বাসিন্দারা নেতানিয়াহুর হুটহাট সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা আর যুদ্ধ চায় না। এমনকি নেতানিয়াহুকে সহ্যই করতে পারছে না তারা। তাই তো নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার ইসরায়েলি।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, গাজায় আটক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে এবং আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে শনিবার হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ করেছে। ইসরায়েলি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের কাপলান স্কয়ারে জড়ো হয় এবং গাজায় ফিলিস্তিনি উপদলের সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তির ও আগাম নির্বাচনের দাবি জানায়।
গাজায় আটক বন্দীদের পরিবারও এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেয় এবং বিক্ষোভকারীদের সামনে বক্তৃতা দেয়। কিন্তু বিক্ষোভের সময় তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। শুরুতে ধ্বস্তাধ্বস্তি হলেও পরে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা তেলআবিবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে। এমনকি নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে পর্যস্ত বিক্ষোভ হয়।
এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে তেমন কোনো ফলাফল না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের ৩০ সেনা নিজেদের দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। প্যারাট্রুপার ইউনিটের সেনারা বলছে, রাফাহ সীমান্তে অভিযানের জন্য ডাকা হলে তারা এতে সাড়া দেবে না।
গাজার বর্তমান সবশেষ নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে মিসরের রাফাহ সীমান্ত। এলাকাটিতে ইসরায়েল অভিযানের পরিকল্পনা করছে। এমন সময় দেশটির সেনারা এ মনোভাব জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. ‘We scorned them’: Military, political and human costs of Israeli hubris
– https://tinyurl.com/yzcup7mk