আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাহেল অঞ্চলে তাদের সামরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বুরকিনা ফাসোর জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অন্তত ৩৩টি পৃথক অপারেশন পরিচালনার তথ্য নথিভুক্ত করেছে দলটির অফিসিয়াল মিডিয়া শাখা “আয-যাল্লাকা”।
মিডিয়ায় প্রকাশিত হামলার বিবরণগুলো থেকে জানা যায়, জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মুজাহিদদের পরিচালিত ৩৩টি অভিযানের মধ্যে ২টি পাল্টা আক্রমণ, ৫টি অ্যাম্বুশ ও ৯টি আতর্কিত আক্রমণও রয়েছে। আর মুজাহিদদের এসকল অভিযানে সফল টার্গেটে পরিণত হয়েছে জান্তা বাহিনীর ৯টি সামরিক ঘাঁটি, ৩টি সামরিক ব্যারাক, ৫টি অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প ও ৪টি সামরিক কনভয়। এতে ধ্বংস হয়েছে জান্তা বাহিনীর ৭টি সাঁজোয়া যান, ৪৫টি মোটরসাইকেল, ৩টি সেনা ঘাঁটি ও ৬টি অস্থায়ী ক্যাম্প সহ অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম।
আর মুজাহিদদের এসকল অভিযানের ২৪ টিতেই জান্তা বাহিনীর অন্তত ১৩০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন সৈন্য। মুজাহিদদের পরিচালিত বাকি ৯টি অভিযানেও অসংখ্য জান্তা সৈন্য হতাহত হওয়ার তথ্যও নিশ্চিত করেছে ‘জেএনআইএম’। তবে রিপোর্টে এই ৯টি অভিযানে হতাহত জান্তা সদস্যদের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নথিভুক্ত করা হয় নি।
তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদগণ এসকল বীরত্বপূর্ণ অভিযানের মাধ্যমে শত্রু বাহিনীর অসংখ্য সৈন্যকে নিষ্ক্রিয় ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংসের পাশাপাশি, ৩টি এলাকা, ৪টি সেনা ঘাঁটি, ১টি সামরিক ব্যারাক ও কয়েকটি সেনা চেকপয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
আর অভিযান শেষে ও বিজিত এলাকা থেকে মুজাহিদগণ গনিমত হিসাবে অর্জন করেছেন ৮টি সাঁজোয়া যান, ১১টি পিকা, ৮টি আরপিজি, ১১৯টি ক্লাশিনকোভ, ৩৩টি পিস্তল, ৮৮টি মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদে ভর্তি ৯৬টি বাক্স সহ অন্যান্য অসংখ্য সরঞ্জাম।