প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ দেশ আফগানিস্তান। কিন্তু যুদ্ধাবস্থা, বিগত সরকারের দুর্নীতি, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো ইত্যাদি নানাবিধ কারণে দেশটিতে খনি খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। তবে বর্তমানে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার খনিজ সম্পদ খাতকে দেশের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের অন্যতম পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে।
সম্প্রতি একটি চীনা কোম্পানির সাথে স্বর্ণ খনি সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। খনিটি তাখার প্রদেশে চাহ আব জেলায় অবস্থিত। এটির আয়তন প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার। এটি বড় আকারের খনিসমূহের মধ্যে অন্যতম। সম্পাদিত চুক্তিমূল্যের পরিমাণ ৩১০ মিলিয়ন ডলার। চুক্তিটির মেয়াদ ৫ বছর। বর্তমানে খনিটিতে স্বর্ণ অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই স্বর্ণ উত্তোলন কাজ শুরু হবে।
এছাড়া ২টি দেশীয় বেসরকারি সংস্থার সাথে রুবি রত্নপাথর ও ব্যারাইট আকরিকের খনি সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইমারতে ইসলামিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। মূল্যবান রুবি পাথরের খনিটি কাবুল প্রদেশে এবং ব্যারাইট আকরিকের খনিটি হেরাত প্রদেশে অবস্থিত। এগুলোর চুক্তিমূল্য ৩৩.৪ মিলিয়ন ডলার। চুক্তি দুটির মেয়াদ ১৫ বছর। কাবুলের সুরোবি জেলায় অবস্থিত রুবি খনিটির আয়তন ৬.৮ বর্গকিলোমিটার। এটিতে মোট ২৭.৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
হেরাত প্রদেশের ব্যারাইট আকরিক খনিটির আয়তন ৫.৭৫ বর্গকিলোমিটার। এটিতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ মিলিয়ন ডলার। তৈল কূপ খননের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হল ব্যারাইট পাথরের গুঁড়ো। খনি থেকে উত্তোলিত ব্যারাইট আকরিক উক্ত প্রয়োজন পূরণে ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য যে, বিগত বছরে (সৌর হিজরি সাল ১৪০২) দেশীয় ও বিদেশি একাধিক কোম্পানির সাথে প্রধান খনি সংশ্লিষ্ট ১৫টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন। এই সকল চুক্তির ফলে খনিজ সম্পদ আহরণ কাজে অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের রাজস্ব উপার্জনে চুক্তিসমূহ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
তথ্যসূত্র:
1. Contract for Takhar Gold Mine Signed
– https://tinyurl.com/jym53msm
2. Ministry Signs Contracts for Ruby and Barite Mines
– https://tinyurl.com/maw2ds5k