ধোলপুর উচ্ছেদ: মুসলিম পরিবারের বসতি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে

0
191

২০২১ সালে মুসলিম কৃষকরা ধোলপুরে ব্রহ্মপুত্র এবং এর উপনদী ননোইয়ের তীরে বসতি স্থাপন করেছিল। স্থানীয়দের মতে, জেলা প্রশাসন নোনোই নদীর ধারের পরিবারগুলোকে তাদের অস্থায়ী বাড়ি তৈরির অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কোন নোটিশ ছাড়াই ২০ মে, সোমবার থেকে বুলডোজার চালিয়ে জোরপূর্বক উচ্ছেদ শুরু করে সরকারি কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা মনে করেন তারা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।

দারাং জেলা প্রশাসন ২০ মে ২০২৪-এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযান সোমবার থেকে চলছে। জেলা কর্মকর্তাদের মতে, শিবিরে বসবাসকারী ২০২৩ পরিবারের মধ্যে ৫৫০ পরিবারকে স্থানান্তরের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল, যাদের এখন উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

উচ্ছেদের শিকার ৬৫ বছর বয়সী আয়নাল হক বলেন, “প্রশাসন যে নতুন জায়গায় আমাদের বসতি স্থাপন করতে নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে বাড়ি তৈরির জন্য আমরা গৌহাটি হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। আমরা শুধু জায়গাটি দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সে সুযোগ দেওয়া হয় নি। আমাদের আবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার থেকে তারা বুলডোজার চালাতে শুরু করে এবং সব কিছু ধ্বংস করে দেয়।”

স্থানীয়রা বলেছেন যে, তারা উচ্ছেদের ভয় ছাড়াই একটি জায়গায় বসবাস করতে চান।
“প্রশাসন যদি আমাদের সাথে মতবিনিময় করত এবং আবার উচ্ছেদের বিষয়ে আমাদের অবহিত করত, তাহলে আমরা অবাক হতাম না। কিন্তু তারা বুলডোজার নিয়ে এসে আমাদের বাড়িঘর খালি করতে বলে এবং তারপরে তারা বাড়িগুলিতে বুলডোজার চালায়।

“যদিও আদালত বলেছিল যে, আমাদের ছয় মাসের মধ্যে পুনর্বাসন করতে হবে, প্রশাসন আমাদের স্থানান্তর করেনি। এখন তারা জোরপূর্বক আমাদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলছে। যেসব জায়গায় লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হয় সেগুলো শুধু বালির আস্তরণ, কৃষি কাজের কোনো সম্ভাবনা নেই।” তাদের ভয়- কৃষিজমি ছাড়া, আসামে বা অন্য রাজ্যে শ্রমিক হওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।


তথ্যসূত্র:
1. Dholpur evictions: Shanties of evicted Muslim families reduced to rubbles during “relocation” drive
https://tinyurl.com/ytvajfyx

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমেথিতে স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ভোট কেন্দ্রে মুসলমানদের মারধর করেছে
পরবর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ২৩ মে, ২০২৪