মানসিলা যুদ্ধ: বুরকিনায় নিপীড়িতদের পক্ষে আল-কায়েদার দুঃসাহসী অভিযান

0
633

আল-কায়েদা ইসলামিক মাগরিবের আঞ্চলিক শাখা জেনিম (JNIM) নিশ্চিত করেছে যে, দলটির মুজাহিদগণ নিপীড়িত ও গণহত্যার শিকার সাধারণ মুসলিমদের প্রতিশোধ নিতে বুরকিনান জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি দুঃসাহসী সফল অভিযান পরিচালনা করছেন।

বুরকিনা ফাসোর পূর্বাঞ্চলীয় সিয়া রাজ্যের গুরত্বপূর্ণ শহর মানসিলা। শহরটি ২৯টি গ্রাম ও ৫০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা নিয়ে গঠিত। সাম্প্রতিক সময়ে শহরটির বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি গণহত্যা চালিয়েছে বুরকিনান জান্তা বাহিনী। বেসামরিকদের বিরুদ্ধে জান্তার এধরণের গণহত্যা ও নিপীড়নের প্রতিশোধ নিতে গত ১১ জুন মঙ্গলবার, শহরটিতে অবস্থিত জান্তা বাহিনীর প্রধান সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে একটি ইস্তেশহাদী হামলা চালান ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেনিমের একজন মুজাহিদ।

ইস্তেশহাদী হামলার পর জেনিমের শত শত ইনগিমাসী যোদ্ধা সাঁজোয়া যান ও মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে শহরের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। সেই সাথে বেসামরিক লোকদের হত্যাকারী ও নিপীড়নকারী জান্তা বাহিনীর সদস্যদের তাড়া করে করে হত্যা করেন মুজাহিদগণ।

স্থানীয় সূত্রমতে, শহরটিতে জান্তার বিরুদ্ধে মুজাহিদদের দীর্ঘ ৪ ঘন্টার তীব্র অভিযানে ১৫০ এরও বেশি সৈন্য এবং ৬০ এরও বেশি মিলিশিয়া সদস্য নিহত হয়েছে। হামলার পর নিখোঁজ এবং আহত হয়েছে আরও কয়েক শতাধিক সৈন্য ও মিলিশিয়া সদস্য। মুজাহিদিন তথা ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতিশোধমূলক এই অভিযান থেকে বেঁচে যাওয়া সৈন্যরা নিজেদের জীবন নিয়ে শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে মুজাহিদগণ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলীয় গুরত্বপূর্ণ এই শহরটির উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।

এদিকে JNIM-সংশ্লিষ্ট আয-যাল্লাকা মিডিয়ায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, মানসিলা শহরের সামরিক ঘাঁটিতে মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানে অন্তত ১০৭ সৈন্য নিহত হয়েছে এবং অপর ৭ সৈন্য মুজাহিদদের হাতে বন্দী হয়েছে। অভিযান শেষে মুজাহিদগণ সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন, এবং সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ গনিমত হিসাবে পেয়েছেন। এসকল গনিমতের মধ্যে রয়েছে ৩টি সাঁজোয়া যান, ১৪২টি ক্লাশিনকোভ, ১১টি পিকা, ১৩টি আরপিজি, ২টি দুশকা, ২টি মর্টার আর্টিলারি, ৭০টি আরপিজি শেল, ১২টি মর্টার শেল, ৪৪৯টি ক্লাশিনকোভের বুলেট বক্স, ৫৩টি পিকা চেইন, ৫১টি গোলাবারুদ বাক্স ও ১টি ড্রোন। এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক মোবাইল এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামও মুজাহিদগণ গনিমত হিসেবে পেয়েছেন।

‘জেএনআইএম’ তার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে, নিরীহ বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে শত্রুর অপরাধনামা আমাদের জিহাদকে থামাতে পারবে না। বরং শত্রুর এই অপরাধগুলো জিহাদের অগ্নিশিখাকে আরও প্রজ্বলিত এবং পুনরুজ্জীবিত করবে। আর অসহায় ও বৃদ্ধদের রক্ত থেকে জ্বলে ওঠা এই শিখা অপরাধীদের ধ্বংস না করে নিভে যাবে না ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধহিজাব পরার কারণে হয়রানি, পদত্যাগ কলকাতার অধ্যাপিকার
পরবর্তী নিবন্ধগাজায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় নিহত ৮ ইসরায়েলি সেনা