বুরকিনায় দশদিনে ৯টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিল আল-কায়েদা

1
220

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোয় জোরদার সামরিক অপারেশন চালাচ্ছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট প্রতিরোধ বাহিনীর (জেএনআইএম) বীর মুজাহিদগণ। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনেই বুরকিনান সামরিক বাহিনী থেকে ১টি সামরিক ব্যারাক ও ৮টি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মুজাহিদগণ।

আয-যাল্লাকা মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদগণ গত ১লা জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত বুরকিনা ফাসোতে অন্তত ২৫টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন। এসময় মুজাহিদগণ বুরকিনা ফাসোর জান্তা বাহিনী ও তাদের সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর ১টি ব্যারাক, ২টি চেকপয়েন্ট ও ১১টি ঘাঁটির বিরুদ্ধে ১৪টি অতর্কিত আক্রমণ চালান। আর অতর্কিত এই ১৪টি আক্রমণের মাধ্যমে মুজাহিদগণ ২টি সামরিক চেকপয়েন্ট ধ্বংসের পাশাপাশি ১টি সামরিক ব্যারাক ও ৮টি  সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন।

এছাড়াও শত্রু বাহিনীর টহল দল অগ্রবর্তি বাহিনীর বিরুদ্ধেও মুজাহিদগণ আরও ৭টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন। এসকল অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদগণ শত্রুর টহল দলগুলোকে ধ্বংস এবং তাদের অগ্রবর্তি বাহিনীর আগ্রযাত্রার প্রচেষ্টা পতিহত করতে সক্ষম হন।

এমনিভাবে মুজাহিদগণ জান্তা বাহিনীর আরও ৪টি ইউনিটের বিরুদ্ধে আইইডি বিস্ফোরণ পাশাপাশি অতর্কিত আক্রমণও পরিচালনা করেন। ফলশ্রুতিতে বহু সংখ্যক জান্তা সদস্য হতাহত হয়।

‘জেএনআইএম’ মুজাহিদগণ এসকল অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করতে আয-যাল্লাকা মিডিয়া থেকে ২২টি পৃথক বিবৃতির জারি করেছে। মিডিয়ায় প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, বুরকিনান জান্তা ও মিলিশিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে মুজাহিদদের পরিচালিত ২৫টি অভিযানের ১২টিতেই অন্তত ৬২ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়াও ৮ সেনা সদস্যকে মুজাহিদগণ বন্দী করতে সক্ষম হয়েছেন। মুজাহিদদের পরিচালিত বাকি ১৩টি অভিযানেও অনির্দিষ্ট সংখ্যক শত্রু সৈন্য হতাহত হয়েছে এবং শত্রু বাহিনী বহু ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

মিডিয়া তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদগণ বীরত্বপূর্ণ এসকল অভিযান শেষে শত্রু বাহিনী থেকে অসংখ্য গনিমত লাভ করেছেন। আর এই গনিমতের মধ্যে রয়েছে ১টি সাঁজোয়া যান, ৯টি আরপিজি, ১২টি পিকা, ৪৪টি ক্লাশিনকোভ, ১০টি রাইফেল, ৭৮টি মোটরসাইকেল, ২৩টি গোলাবারুদ বাক্স, ১১৮টি বুলেট বাক্স, ৮টি রেডিও সহ অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম ও মোবাইল।

১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ২৫ জুন, ২০২৪
পরবর্তী নিবন্ধভারতকে রেল ট্রানজিট প্রদান : বাংলাদেশের লাভ না-কি ক্ষতি?