পশ্চিম তীরে মুজাহিদদের প্রতিরোধের মুখে অন্তত ১৭ জায়োনিস্ট সেনা হতাহত

0
8

অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে জায়োনিস্ট বাহিনীর উপর হামলা জোরদার করেছেন সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুন রাতে অঞ্চলটির জেনিন শহরে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একটি সফল হামলায় অন্তত ১৭ জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রমতে, জায়োনিস্ট বাহিনী প্রতি রাতেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা চালিয়ে আসছে। গত ২৬ জুন রাতেও অঞ্চলটির জেনিন শহরে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ধ্বংস করার নামে বেসামরিকদের উপর হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে জায়োনিস্ট বাহিনীর এধরণের হামলার প্রতিশোধ নিতে প্রতিরোধ যোদ্ধারাও অঞ্চলটিতে পাল্টা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে জায়োনিস্ট বাহিনীর সাঁজোয়া যান ও সেনাদের চলাচলের অবস্থান সনাক্ত করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা রাস্তায় দু’টি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস স্থাপন করেন। আর শত্রু সাঁজোয়া যানগুলো যখন রাস্তা অতিক্রম করতে শুরু করে, তখন প্রতিরোধ যোদ্ধারা দূর থেকে রাস্তায় স্থাপন করা প্রথম বিস্ফোরক ডিভাইসটির সফল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে জায়োনিস্ট বাহিনীর কর্মিবাহী একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়। সেই সাথে সাঁজোয়া যানটির ভিতরে থাকা সমস্ত সৈন্য হতাহত হয়। পরে হতাহত সৈন্যদের সরিয়ে নিতে অঞ্চলটিতে জায়োনিস্ট বাহিনীর দ্বিতীয় একটি দল উপস্থিত হয়। উদ্ধারকারী এই দলটি যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন সেখানে দ্বিতীয় বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটান বীর মুজাহিদগণ। এতে আরও বেশ কিছু জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়।

এদিকে জায়োনিস্ট বাহিনী দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় হাতাহত সেনাদের সঠিক সংখ্যা গোপন করতে দাবি করে যে, দু’টি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ১৬ সৈন্য আহত হয়েছে এবং ১ সৈন্য নিহত হয়েছে। নিশ্চিত করা হয় যে, নিহত সেনা সদস্য জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি স্নাইপার ইউনিটের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল।

হিব্রু মিডিয়া ও স্থানীয় সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় এতো বিপুল সংখ্যক সৈন্য হতাহত হয়েছিল যে, তাদেরকে সরিয়ে নিতে ৩টি হেলিকপ্টার ও ২টি অ্যাম্বুলেন্স ব্যাবহার করা হয়েছিল। পরে হতাহত সেনাদেরকে ৪টি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

হিব্রু সংবাদপত্র হারেৎজ, জেনিন অভিযান সম্পর্কে আরও যুক্ত করেছে যে, জেনিনে গত রাতে সেনাদের উপর বিস্ফোরিত ডিভাইসগুলো মাটির দেড় মিটার গভীরে পুঁতে রাখা হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে শহরটিতে সেনাদের প্রবেশের আগে বুলডোজার দিয়ে রাস্তা নিরাপদ কিনা যাচাই করা স্বত্বেও ডিভাইসগুলো ধরা পড়ে নি। এমনকি উদ্ধারকারী বাহিনীও দ্বিতীয় বিস্ফোরকটি আবিষ্কার করতে পারি নি।


তথ্যসূত্র:
كمين جنين.. تفاصيل عملية نوعية أمنيا وعسكريا في الضفة الغربية
– https://tinyurl.com/3zzybmje

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনের জিহাদ || আপডেট – ২৫ জুন, ২০২৪
পরবর্তী নিবন্ধবুরকিনায় দশদিনে ৯টি সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিল আল-কায়েদা