ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসবাদী হামলা, মারধর ও সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অন্তত ৯১ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১৫ জুলাই সোমবার বিকেল ৪টার পর থেকে আহত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসতে থাকেন। বিকেল ৫টা নাগাদ ৯১ জনের চিকিৎসা নেওয়ার হিসাব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে প্রথম আলো।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখা যায়, ওই সময় ভেতরে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে। বাইরেও বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তি চিকিৎসা পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।
সোমবার বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এরপর ক্যাম্পাসের কয়েকটি জায়গায় আন্দোলনকারীদের ওপর পিস্তল, ককটেল, দা, লাঠিসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। আন্দোলনকারীরা পিছু হটলে তাদের ধরে ধরে মারধর করা হয়।
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক নারী শিক্ষার্থীও রয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগ দাবি করেছে যে তাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছে।
এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের যারা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেছেন, তাদের সেখান থেকে ধাওয়া দিয়ে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ছাত্রলীগের একদল সশস্ত্র নেতা–কর্মী ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে হামলা চালায়।
এতে ঢাকা মেডিকেলের সামনের সড়কে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে ছাত্রলীগ।
তথ্যসূত্র:
১. হামলায় আহত শতাধিক ঢাকা মেডিকেলে- https://tinyurl.com/ynrxvbpd