যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলার মধ্যে এই প্রথম আন্তর্জাতিক আদালত নেতানিয়াহু বা কোনো ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলেন।
দ্য হেগে অবস্থিত আইসিসি ২১ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার এক সিদ্ধান্তে জানান, ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং এর জের ধরে গাজায় দেশটির গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরুর ঘটনায় নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আইসিসি তার সিদ্ধান্তে বলেছেন, অন্তত গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২০ মে পর্যন্ত মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন তারা। এ অভিযোগের সঙ্গে গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে ব্যবহার করা ও স্বাস্থ্যসেবা–সংশ্লিষ্ট স্থাপনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা বানানোর বিষয়টিও যুক্ত রয়েছে।
যা–ই হোক, এ দুইজন এখন থেকে আন্তর্জাতিকভাবে তালিকাভুক্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি বলে গণ্য হবে এবং তাদের গ্রেপ্তার করতে আইসিসিভুক্ত দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা থাকবে।
আইসিসি তার সিদ্ধান্তে বলেন, অন্তত গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২০ মে পর্যন্ত মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন তারা। এ অভিযোগের সঙ্গে গাজার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে ব্যবহার করা ও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট স্থাপনাকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা বানানোর বিষয়টিও যুক্ত রয়েছে।
প্রায় ২০ বছর ধরে ইসরায়েল ক্ষুধাকে গাজায় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ইসরায়েলের নেতাদের বক্তব্য ও দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার অভিপ্রায় স্পষ্ট এবং এটি প্রমাণ করা সহজ হবে।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান প্রথম গত মে মাসে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে আন্তর্জাতিক এ সর্বোচ্চ আদালতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আদালত বলছেন, গাজাবাসীকে গণহারে ক্ষুধায় রাখার পেছনে নেতানিয়াহুর ‘অপরাধমূলক দায়’ থাকার গ্রহণযোগ্য ভিত্তি রয়েছে।
নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট—দুজনকেই গাজায় ‘ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করায় অভিযুক্ত করেছেন আদালত। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মূলত আদালত গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে খাদ্যসামগ্রী ও মানবিক ত্রাণ সরবরাহে পদ্ধতিগত উপায়ে বাধা দিয়ে চলার ঘটনাকে বুঝিয়েছেন। এর বাইরে আদালত এ দুই নেতাকে ‘হত্যা, নির্যাতন ও অন্যান্য অমানবিক কর্মকাণ্ডে’ যুক্ত থাকায় অভিযুক্ত করেন।
তথ্যসূত্র:
1. World reacts to ICC arrest warrants for Israel’s Netanyahu, Gallant
– https://tinyurl.com/ukbwde29
2.Arrest warrants issued for Netanyahu, Gallant and Hamas commander over alleged war crimes
– https://www.bbc.com/news/articles/cly2exvx944o