
ভারতে মুসলিমরা নানা ধরনের চাপে রয়েছেন। সম্প্রতি ওয়াকফ আইনে পরিবর্তনের কারণে তারা এক ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যেই বিহারের কাটিহারে দুই হিন্দু নারী বোরকা পরে মদ পাচারের সময় ধরা পড়েছে। মুসলিমদের মতে, এ ঘটনা ধর্মীয় পোশাক বোরকাকে বিতর্কিত করার এক ধরনের কৌশল।
গত ১৯ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ক্লারিওন ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া দুই নারী হল পিপরাধারী টোলার বাসিন্দা বীণা দেবী ও নন্দিনী কুমারী।
পুলিশ জানায়, তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহারে মদ নিয়ে আসছিল। শাড়ির ওপর বোরকা পরে নিজেদের গর্ভবতী মুসলিম নারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে শরীরে টেপ দিয়ে প্যাঁচিয়ে বিদেশি মদের বোতল লুকিয়ে রেখেছিল। বীণার শরীরে ছিল ৯ লিটার আর নন্দিনীর শরীরে ছিল ৮.১ লিটার মদ।
এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ ও বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণত মুসলিম নারীদের বোরকা পরা নিয়ে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো যেভাবে সমালোচনা করে থাকে, মুসলিম নারীদের ‘চরমপন্থী’ বলে অপবাদ দেয়, এই ঘটনার পর সেই দ্বৈত মানসিকতা সামনে এসেছে।
নারী অধিকারকর্মী জেবা খান বলেন, এটা চূড়ান্ত ভণ্ডামি। মুসলিম নারীরা বোরকা পরলে তিরস্কার করা হয়, আর হিন্দু নারী অপরাধে এটি ব্যবহার করলে সবাই চুপ থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফৈজান আহমেদ বলেন, ভাবুন তো, যদি এটা মুসলিম নারীরা করতো, তাহলে দেশজুড়ে কত হইচই হতো! কিন্তু যেহেতু তারা হিন্দু, তাই সবাই চুপ।
তথ্যসূত্র:
1. Hindu Women Caught Smuggling Liquor in Burqa in Bihar’s Katihar
– https://tinyurl.com/jk2hwyue