
পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে “আল-কায়েদা উপমহাদেশ” একটি বিবৃতি জারি করেছে। এতে জনবসতি ও মসজিদসমূহকে লক্ষ্যবস্তু করে হিন্দুত্ববাদী ভারতের এই আগ্রাসনকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর যুদ্ধের অংশ বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই ভারতের এধরণের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিহাদকে এই অঞ্চলের মুসলমানদের জন্য ফরজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৭ মে, বুধবার আল-কায়েদা উপমহাদেশ এর কেন্দ্রীয় মিডিয়া শাখা আস-সাহাব থেকে “পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় আগ্রাসন প্রসঙ্গে বার্তা” শিরোনামে এই বিবৃতিটি জারি করা হয়। বিবৃতিতে গত ৬ মে ২০২৫ তারিখ রাতে, ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সরকার কর্তৃক পাকিস্তানের ৯টি স্থানে বোমাবর্ষণে শহিদ ও আহত হওয়া নিরপরাধদের মাগফিরাত ও সুস্থতা কামনা করা হয়।
বার্তাটিতে ভারতের এই বর্বর বোমাবর্ষণকে কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রের অপরাধপঞ্জিতে আরেকটি অন্ধকারতম অধ্যায় বলে অবিহিত করা হয়। এতে বলা হয়, “ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভারতের এই যুদ্ধ পেহেলগাঁও ঘটনার পর শুরু হয়নি—বরং এই আগ্রাসন বহু দশক ধরে চলে আসছে। হিন্দুস্তান ও কাশ্মীরের মুসলমানরা যুগের পর যুগ ধরে ইতিহাসের নির্মমতম নির্যাতন ও জুলুম সহ্য করে আসছে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও তাদের মোদি সরকার আজ পুরো উপমহাদেশ থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। তারা সামরিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, দাওয়াতি ও মিডিয়া—সব ক্ষেত্রেই এই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।”
বার্তাটির শেষ পর্যায়ে এসে আগ্রাসী ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জিহাদের ঘোষণা দেয় আল-কায়েদা উপমহাদেশ। এসময় ৩টি পয়েন্ট উল্লেখ করে বিবৃতিটি শেষ করা হয়। পয়েন্টগুলোতে বলা হয়:
– ভারতের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ, এই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ—সমস্ত মুজাহিদিন এবং উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য ফরজ হয়ে গেছে! এখন—আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত করতে, ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ষা করতে, এবং এই অঞ্চলের মজলুম মুসলমানদের সাহায্য করতে এই জিহাদে অংশগ্রহণ করা আমাদের জন্য ফরজ দায়িত্ব।
– আমাদের দাওয়াত ও জিহাদ, বন্ধু ও শত্রু, এবং হক ও বাতিল সম্পর্কে আমাদের অবস্থান ও উদ্দেশ্য উপমহাদেশে আগে থেকেই পরিচিত ছিল—আর এই অবস্থান ও লক্ষ্যের জন্য আজ উপমহাদেশের মুসলিমদের জাগ্রত হওয়ার প্রয়োজন আগের চেয়েও বেশি!
– এই উপলক্ষে আমরা আবারও দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতি করছি যে, আল্লাহর সাহায্য ও তাওফিক নিয়ে, আমরা আমাদের এই যুদ্ধ ততক্ষন পর্যন্ত চালিয়ে যাব, যতক্ষণ না ইসলাম ও মুসলমানদের ওপর আগ্রাসন চালানো প্রতিটি জালিমের প্রতিটি অপরাধের জবাব আমরা দিতে সক্ষম হবো, এবং আল্লাহর কালিমা আল্লাহর জমিনে বিজয়ী ও উচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত হবে!
টিটিপি নাকি পাক সেনাদের এখন টার্গেট করছে, ১০ পাক সেনাকে হত্যা করেছে।বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে বলল।
এটা সত্য, নাকি মিথ্যা?
যদি সত্য হয়, তাহলে টিটিপি কী পাকিস্তানের এই দুর্বল মূহুর্তে আক্রমণ করা উচিত?
নাকি ভারত মদদপুষ্ট কোন গোষ্ঠী পাকিস্তানে এমন নাশকতা চালাচ্ছে?
পাকিস্তান সেনাবাহিনী ছোট নয় এবং এর একেক উইং একেক কাজে আছে। এরা স্বতন্ত্রভাবেই দুইদিকেই কাজ করছে। এমন না যে- ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তারা ওয়াজিরিস্তানকে ভুলে গেছে। সেখানে এখনো তারা হামলা করছে ঠিকই। আর তাদেরকে প্রতিহত করা তো জরুরি। তাই স্বতন্ত্রভাবেই এই কাজগুলো ঠিক আছে। আর ভারতের মদদপুষ্ট বলাটা একটা অপবাদ