
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ও টেক্সাসের রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল প্রার্থী ভ্যালেন্টিনা গোমেজ ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন পুড়িয়েছে এবং পোড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ শেয়ার করেছে। কোরআনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রিপাবলিকান ওই প্রার্থী পবিত্র কোরআনে আগুন দেওয়ার আগে ইসলাম ধর্মকে টেক্সাস রাজ্য থেকে নির্মূল করার অঙ্গীকার করে। ভ্যালেন্টিনার কোরআন পুড়িয়ে ফেলার ভিডিও সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হলেও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের এক্সে এখনও রয়েছে। এ নিয়ে ইলন মাস্কও বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে।
দেশটির কট্টর ডানপন্থী এই প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে পবিত্র কোরআনে আগুন দেওয়ায় মুসলিমদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ২০২৬ সালে টেক্সাসের ৩১তম কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ভ্যালেন্টিনা। বিভিন্ন সময়ে ইসলাম নিয়ে নানা ধরনের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য মার্কিন এই রাজনীতিকের পরিচিতি আছে।
রিপাবলিকান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এই চরম ডানপন্থী প্রার্থী কোরআন পোড়ানোর পাশাপাশি ‘‘ইসলামকে একেবারে থামাতে হবে’’ বলেও হুমকি দিয়েছে। ভিডিওতে সে আমেরিকাকে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে। তবে তার এই দাবি মিথ্যা। পাশাপাশি সে মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিমদের বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশে চলে যেতে বলে সে। তার এমন কর্মকাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
কলম্বিয়ায় জন্ম নেওয়া গোমেজ এখন পর্যন্ত রাজনীতিতে সফল হয়নি। সে বরাবরই মুসলমান, কৃষ্ণাঙ্গ ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কৌশল ব্যবহার করে আলোচনায় আসার চেষ্টা করেছে। সর্বশেষ ভিডিওর শেষে সে বলে, সে নাকি যিশু খ্রিস্টের শক্তিতে চলে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা বলছেন, সে রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য ধর্মকে কাজে লাগাচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
1.
US far-right candidate sparks outrage after burning Quran, urging ‘Stop Islam’ in inflammatory ad campaign
– https://tinyurl.com/4v8ac5nj


