TAPI প্রকল্পে বিরোধ মীমাংসার ভিত্তি হিসেবে শরীয়াহকে নিশ্চিত করতে আমীরুল মু’মিনীন হাফিযাহুল্লাহ’র সুদৃঢ় অবস্থান

2
337

গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে আফগানিস্তানে TAPI (তুর্কমেনিস্তান–আফগানিস্তান–পাকিস্তান–ভারত) গ্যাসলাইন প্রকল্প গ্রহণের সময়কার একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ইমারতে ইসলামিয়ার আমীরে মুহতারাম মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদা হাফিযাহুল্লাহ।

তিনি বলেন, TAPI(টাপি) প্রকল্পের প্রস্তাবনাটি যখন তাঁর নিকট পেশ করা হয়, সেখানে একটি ধারায় উল্লেখ ছিল— প্রকল্প বাস্তবায়নকালে কোনও বিরোধ দেখা দিলে তা আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে সমাধান করা হবে।

তখন সাথে সাথেই এই ধারার ব্যাপারে আপত্তি জানান আমীরুল মু’মিনীন হাফিযাহুল্লাহ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বরং বিরোধ মীমাংসার একমাত্র পথ হবে ইসলামি শরীয়াহ। প্রতিটি সিদ্ধান্ত আল্লাহর বিধান অনুযায়ী হতে হবে। তিনি প্রস্তাবনায় নিজ হাতে লিখে তাঁর এই দাবি সংযুক্ত করেন।

তবে তাঁর প্রস্তাবনাটি প্রথমদিকে এই বলে ফেরত পাঠানো হয় যে, আমরা আপনার শরীয়াহ আইনকে সম্মান করি, তবে তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়, এছাড়া প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো এই শর্ত মেনে নিবে না।

জবাবে আমীরুল মু’মিনীন হাফিযাহুল্লাহ দৃঢ়ভাবে বলেন, যদি আন্তর্জাতিক অঙ্গন শরীয়াহকে স্বীকৃতি না দেয়, তবে আমরাও এই আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে স্বীকৃতি দিই না! যে করেই হোক, বিরোধ মীমাংসার একমাত্র আইন হবে ইসলামি শরীয়াহ।

প্রকল্পটি আফগানিস্তানের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে বলে অন্যান্য সহকর্মীগণ আমীরুল মু’মিনীন হাফিযাহুল্লাহকে জানান। কিন্তু তিনি শরীয়াহভিত্তিক বিচার নিশ্চিত করতে তাঁর অবস্থানে অনঢ় থাকেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে সহকর্মীদের জানান, যদি এই প্রকল্প গ্রহণের ফলে সমগ্র আফগানিস্তান খাঁটি সোনায় পরিণত হয়, তবুও আমি শরীয়াহ ছাড়া অন্য কোনও আইনের অধীনে বিচার মানব না। যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, বিরোধ সমাধানের একমাত্র আইন হবে ইসলামি শরীয়াহ।

তাঁর সুদৃঢ় অবস্থানের দরুণ অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীগণ শরীয়াহ আইনের আলোকে বিরোধ মীমাংসায় সম্মত হতে বাধ্য হয়। তারা আমীরুল মু’মিনীনকে নিশ্চিত করেন যে, প্রকল্প চলাকালীন যে কোনও বিরোধ দেখা দিলে তা শরীয়াহ আইনের আলোকেই সমাধান করা হবে।

এই সংবাদে আমীরুল মু’মিনীন হাফিযাহুল্লাহ অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং প্রকল্পের প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর।


তথ্যসূত্র:
1. https://tinyurl.com/4kdsbcxr

2 মন্তব্যসমূহ

  1. আলহামদুলিল্লাহ, মাশাআল্লাহ, বারকাল্লহু ফী- হায়াতিকা অয়া মামাতিকা ইয়া আমীরল মুমিনীন! তাকাব্বালাল্লহু মিনকা হাযাল জুহদা আমীন। তাকওয়া ও দ্বীনী বিচক্ষণতা এই অবস্থানের প্রকৃত স্তম্ভ।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের নতুন দুটি সেনা ঘাঁটি তৈরি
পরবর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকায় আবারও ব্যর্থ হল ইস্তাম্বুল শান্তি আলোচনা: জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ