ক্রুসেডার আমেরিকার গোলাম মুরতাদ কাবুল বাহিনী বিমান হামলা চালিয়ে ৪৫ জন আফগান বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এই হামলায় আহতও হয়েছে অনেক নিরাপরাধ মানুষ। তালেবান জানিয়েছে, এই ধরণের হামলা চলতে থাকলে ময়দানেই এর কঠিন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন তাঁরা।
গত বুধবার রাতে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশ মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনীর দ্বারা এই নির্মম ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। তালেবান নিয়ন্ত্রিত ইদ্রীসখান জেলায় একজন তালেবান কমান্ডারের বাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় মুরতাদ বাহিনী।
ইমারতে ইসলামিয়ার তালেবান মুখপাত্র মুহতারাম ক্বারী ইউসুফ আহমাদী হাফিজাহুল্লাহ্ এই নির্মম ও নৃশংস হামলার ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, হামলাটি চালানো হয়েছে সাম্প্রতিক বাগরাম কারাগার হতে চুক্তি অনুযায়ী মুক্তিপ্রাপ্ত “খালিদ বিন ওয়ালিদ নাজ্বার” নামক একজন তালেবান কমান্ডারের বাড়িতে। যখন তাকে দেখতে গ্রামবাসী ও তাঁর আত্মীয় স্বজন বাড়িতে একত্রিত হয়েছিলো। আর ঠিক এমন সময়ই কাপুরুষ কাবুল বাহিনী তার বাড়ি লক্ষ্য করে পর পর দুইবার বিমান হামলা চালিয়েছে। যার ফলে বৃদ্ধ, শিশু, মহিলাসহ নিরাপরাধ ৪৫ জন বেসামরিক আফগান নাগরিক শহিদ হয়েছেন। ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন।
তালেবানদের নিযুক্ত জেলা গভর্নর আলি আহমেদ ফকির ইয়ার জানিয়েছেন, বুধবার রাতে পর পর দুইটি এয়ার রেড (বিমান হামলা) হয়। বিমান থেকে একের পর এক বোমা ফেলা হয়। নিমেষের মধ্যে গোটা এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তালেবান অধ্যুষিত এই এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় বিমান হামলায় বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে তালেবান মুখপাত্র তাঁর লিখিত বিবৃতি আরো জানান যে, সম্প্রতি যে সমস্ত তালেবান মুজাহিদিন জেল থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন, এই ঘটনার পর তারা আবার হাতে অস্ত্র তুলে নেবে এবং মুরতাদ কাবুল সরকারি বাহিনী ও এই ধরনের হামলায় সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযান চালানো হবে, যা ক্রিয়া স্বরুপ নয় বরং শক্রু বাহিনীর হামলার প্রতিক্রিয়া স্বরুপই চালানো হবে।
এসব নাপাক কাপুরুষ বাহিনী আল্লাহর সন্যদের সাথে পেরে না উঠে সরবোদাই সাধারোন মানুসের উপর হামলা করেছে। আর এটা প্রিথিবির সুরু থেকেই যা ইতিহাসে ইস্পষ্ট।