আল-ফাতাহ্ অপারেশনের ধারাবাহিতায় ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের জানবায তালেবান মুজাহিদিন আফগানিস্তান জুড়ে বেশ কিছু সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন, গত ১৩ নভেম্বর শুক্রবার মুজাহিদদের পরিচালিত এসব হামলায় কাবুল বাহিনীর ১০১ এরও অধিক মুরতাদ সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে। মুজাহিদগণ বিজয় করে নিয়েছেন ৬০ এরও অধিক সামরিক ঘাঁটি ও চেকপোস্ট।
বিস্তারিত রিপোর্ট অনুযায়ী, আফগানিস্তানের ফারয়াব প্রদেশের আলমার জেলা পুলিশ হেডকোয়াটারে একজন সেনা সদস্য হামলা চালিয়েছেন। যিনি পূর্ব থেকেই কাবুল বাহিনীতে তালেবান মুজাহিদদের হয়ে কাজ করছিলেন। তাঁর বীরত্বপূর্ণ উক্ত হামলায় ১৫ মুরতাদ সৈন্য ও পুলিশ সদস্য নিহতহত এবং ১৯ এরও অধিক আহত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই পুলিশ হেডকোয়াটার বর্তমানে তালেবান মুজাহিদগণ বাহির থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
এদিকে নানগারহার প্রদেশের হাসারাক জেলায় কাবুল বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি ও ২টি চৌকিতে অভিযান চালিয়ে তা বিজয় করে নিয়েছেন মুজাহিদগণ, এসময় মুজাহিদদের হামলায় কাবুল বাহিনীর ১৭ সৈন্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো অনেক।
অন্যদিকে কুন্দজ প্রদেশের ইমাম সাহেব জেলায় অবস্থিত কাবুল বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে তা দখলে নিয়েছেন মুজাহিদগণ। এসময় মুজাহিদদের হামলায় ১৭ সৈন্য নিহত এবং ১০ সৈন্য আহত হয়েছে। মুজাহিদগণ আরো ৪ সৈন্যকে জীবিত বন্দী করেছেন। এমনিভাবে নিমরোজ প্রদেশের খাশরোদ জেলায় অভিযান চালিয়ে একটি চৌকি বিজয় করে নিয়েছেন মুজাহিদগণ, এসময় মুজাহিদদের হামলায় ৯ মুরতাদ সৈন্য নিহত হয়েছে।
অপরদিকে বলখ প্রদেশের দৌলতাবাদ জেলায় কাবুল বাহিনীর একটি কনভয় লক্ষ্য করে সফল বোমা হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে ট্যাঙ্ক ও সামরিকযান ধ্বংস হওয়া ছাড়াও ৬ মুরতাদ সৈন্য নিহত এবং ৩ সৈন্য আহত হয়েছে।
গতরাতে তালেবান মুজাহিদগণ তাদের সবাচাইতে সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন রোজগান প্রদেশের দেরাদুন জেলায়। জেলাটিতে মুজাহিদগণ অভিযান চালিয়ে জেলা কেন্দ্র, পুলিশ সদর দফতর, গোয়েন্দা পরিষেবা অফিস, তিনটি সামরিক ঘাঁটি এবং 53 টি ফাঁড়ি দখল করে নিয়েছেন। এছাড়াও বিপুল পরিমাণে হালকা ও ভারী অস্ত্র, সামরিক ট্যাঙ্ক, যানবাহন ইত্যাদি তালেবান মুজাহিদগণ গনিমত লাভ করেন।